271841

গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমবে : নসরুল হামিদ

গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।তিনি বলেন, দাম কমাতে কোম্পানিগুলোকে ‘শক্তভাবে’ ধরা হবে। এলপিজি খাতে কিছু বেসরকারি কোম্পানির ‘একচেটিয়া আধিপত্যের’ লাগাম টানতে অচিরেই নীতিমালা প্রণয়ন ও রেগুলেটর নিয়োগ দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।সম্প্রতি রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় দুদিনব্যাপী সাউথ এশিয়া এলপিজি সামিটের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, বাজারে এলপিজির যে দাম এখন আছে তা বিশ্ববাজারের তুলনায় অনেক বেশি। বেসরকারি কোম্পানিগুলো এলপিজির যা ইচ্ছা দাম বাড়াচ্ছে। এখন সময় আসছে এদের শক্তভাবে ধরার। প্রাইসের ব্যাপারে আর কমপ্রোমাইজ করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম কমছে। কিন্তু বাংলাদেশে যখন তিনটা হাত ঘুরে এ এলপিজি গ্রাহকের কাছে যায়, তখন এমনিতেই দাম ৪০০-৫০০ টাকা বেড়ে যায়।

বর্তমানে ফিলিং স্টেশনগুলো থেকে গাড়িতে প্রতি লিটার এলপিজি ৪২ টাকায় দেওয়া হয়। অন্যদিকে আবাসিকের জন্য নির্ধারিত ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডারের দাম রাখা হয় এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা। কেজি আর লিটারের পার্থক্য এড়িয়ে গেলে এই দামে পার্থক্য প্রায় দ্বিগুণ।প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার এ পর্যন্ত ৫৫টি কোম্পানিকে এলপিজির জন্য প্রাথমিক লাইসেন্স দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে মাঠে আছে মাত্র ১৮টি থেকে ২২টি কোম্পানি। এর বাইরেও গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছার আগে বেশ কয়েকজনের হাত ঘোরে এলপিজির সিলিন্ডার। দাম বৃদ্ধির এটাও একটা কারণ বলে মনে করেন নসরুল হামিদ।

বার্ষিক ৮০ হাজার টন থেকে এখন এক মিলিয়ন টন হয়েছে এলপিজির বাজার। আগামীতে তা আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।সরকার এলপিজির দাম সহনীয় ও যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে উদ্যোগ নেবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলপিজির দাম কীভাবে আরও সাশ্রয়ী করা যায় সেটা চিন্তা করা হচ্ছে, আমরা একটা পলিসি তৈরি করছি। এই ব্যবসাকে একটা রেগুলেশনের আওতায় আনতে হবে। যারা ব্যবসা করছে তারা সবকিছু মেনে ঠিকঠাকভাবে করছে কি না, তা রেগুলেটর দেখবে। সরকারি কোম্পানি বিপিসি এলপিজির ব্যবসা করলেও তার অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ বলে জানান তিনি।

ad

পাঠকের মতামত