254830

ইসলামের শত্রু ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য, দেখুন ভিডিওতে

ইসরাইলের ‘জন্মই তার আজন্ম পাপ’। দশকের পর দশক ধরে চক্রান্তের পথে এগিয়ে দেশটি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরপর চক্রান্তের মধ্য দিয়েই ইসরাইলকে দিন দিন পরিপুষ্ট, শক্তিশালী ও ক্রমবর্ধিত করার তৎপরতা বজায় রয়েছে। এর উদ্যোক্তা ইহুদিবাদীরা হলেও তাদের ঘনিষ্ঠ, আন্তর্জাতিক খ্রিষ্টশক্তির সর্বাধিক সাহায্য ছাড়া কোনো দিন অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র ভূমিষ্ঠ হওয়া সম্ভব ছিল না। ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে যে, নোংরা ও ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছিল, তা জানা ও মনে রাখা শান্তিকামী ও বিবেকবান মানুষ মাত্রেরই উচিত।
১৯৪৭-৪৮ সালে বিশ্বসংস্থাকে ব্যবহার করে ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ফিলিস্তিনের বিরাট অংশ জবদরদখল করে। এর পেছনে ইঙ্গ-মার্কিন জুটির নগ্ন ভূমিকা ছিল সবচেয়ে লজ্জাকর। ফিলিস্তিনিদের ওপর দীর্ঘকালের নির্যাতন-বঞ্চনার পর জাতিসঙ্ঘে তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাড়া জাগিয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে, ইসরাইলের জন্মকালীন কূটনৈতিক তোড়জোড়ের কথা স্মরণ করা যেতে পারে।

ইহুদিদের নৃশংসতা ফিলিস্তিনে সেই তিরিশের দশক থেকেই। এটা প্রচণ্ড দানবীয় রূপ পরিগ্রহ করে ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনের প্রাক্কালে এবং রাষ্ট্রটির জন্ম মুহূর্তে। ফিলিস্তিনের আরবরা তাদের মাতৃভূমির ওপর অবিচ্ছেদ্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রথম থেকেই যথাসাধ্য সংগ্রামের মাধ্যমে বীরোচিত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এ জন্য নর ও নারী, শিশু ও বৃদ্ধ নির্বিশেষে তাদের স্বীকার করতে হয়েছে, এখনো হচ্ছে চরম ত্যাগ এবং অসহনীয় কষ্ট। এবার গাজায় প্রতিবাদী জনতার ওপর ইসরাইলি ঘাতকদের হামলা ও হত্যার রক্তক্ষয়ী ঘটনা সুদীর্ঘ উপাখ্যানের সর্বশেষ অধ্যায়।ইসরাইলের জন্ম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। এর প্রতিষ্ঠা বিশ্বইহুদিবাদের একটি দীর্ঘমেয়াদি নীলনকশা বাস্তবায়নের শেষ নয়, শুরু মাত্র। শুধু ফিলিস্তিন নয়, আশপাশের বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের বিশাল ভূখণ্ড নিয়ে ভবিষ্যতে ইহুদিদের একচ্ছত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যে ইহুদিবাদীরা এগিয়ে যাচ্ছে। আর এটা সম্ভব হচ্ছে শক্তিশালী লবি দ্বারা প্রভাবিত, বৃহত্তম বৃহৎ শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক মদদে। ইসরাইল আয়তনে এখনো হয়তো ক্ষুদ্র। তবে পারমাণবিক শক্তির অধিকারী, চরম বর্ণবাদী ও সাম্প্রদায়িক এই দেশ তার আগ্রাসী নীতি ও সম্প্রসারণবাদী ভূমিকার কারণে সমগ্র বিশ্বের শান্তি ও স্থিতির প্রতি বিরাট হুমকি হয়ে উঠেছে।

ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে সাধারণত যা প্রচার করা হয়, তা হলোÑ ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের হলোকাস্ট বা ইহুদি নিধনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে। তখন ইহুদিদের নিজস্ব আবাসভূমি হিসেবে ইসরাইলের জন্ম হয়েছিল।’
বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। এমনকি, আজ যে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধান মুরব্বি ও মদদদাতা, সে দেশটিরও সরকারের অনেকে প্রথমে ইহুদিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতী ছিলেন না। জাতিসঙ্ঘ ইহুদিবাদীদের হুমকি ও প্রলোভনে প্রভাবিত হয়ে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পথ করে দিয়েছিল। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রও তার শুভাকাক্সক্ষীদের কথায় কান না দিয়ে এবং প্রধানত প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যানের চাপে, ইসরাইলের অনুকূল ভূমিকা পালন শুরু করে দেয়। ভিডিওতে জানুন সংক্ষিপ্ত গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্য

ad

পাঠকের মতামত