240107

‘মার যথেষ্ঠ নয়, ধরে নপুংশক বানিয়ে দিলে শান্তি পেতাম’

যশোরে বাসে নারী যাত্রীর সামনে বসে স্বমেহন করায় গণধোলাই দেওয়া হয়েছে এক যুবককে। রবিবার সন্ধ্যার পর বিমান থেকে নেমে বাসে করে খুলনা যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। ভিক্টিম নারী নিজেই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন।সাবা নামের ওই নারী ঘটনার সূত্রপাত এভাবেই করেন, ‘গত পরশু বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সর একটি ফ্লাইটে খুলনার উদ্দেশে রওনা দিলাম। যশোর থেকে বিমানের দেয়া একটি বাসে চাপলাম। ওটা রওনা দিল খুলনার দিকে। বাসে মোট ছয় জন যাত্রী ছিল। আমার পেছনের সিটে বসলেন এক ‘ভদ্রলোক’। একটু পর পেছনের লোকটি আমার পাশের সারির একটি সিটে এসে বসলেন। তার সামনের সিটে ছিলেন এক মা এবং তার মেয়ে।’

তিনি লোকটির বর্ণনা দিয়ে বলেন,’লোকটি আমার সঙ্গে কথা বলা শুরু করলেন। মূলত খুলনার হোটেল এবং পরিবহন সম্পর্কে খোঁজ খবরের অজুহাতে আমার সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করলেন। তিনি বলছিলেন যে অফিসের কাজে এসেছেন এবং খুলনা শহর নিয়ে তার কোনো ধারণা নেই। আমি তাকে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সহায়তার চেষ্টা করলাম। কিন্তু একটু পর বুঝতে পারলাম, তিনি অবাঞ্ছিত কথা বলে আলাপচারিতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন। আমি তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। তিনিও বুঝলেন যে আমি তার সঙ্গে আর কথা বলতে আগ্রহী নই। একটু পর বাসচালক সব আলো নিভিয়ে দিলেন। বাস চালানোর সময় চালকরা প্রয়োজন হলে তা করেই থাকেন।’

সেই মুহূর্তে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু বুঝলাম সুযোগ বুঝে লোকটি তার মোবাইলের আলো আমার দিকে ধরছে। আবার মুহূর্তেই নিজের দিকে সরিয়ে নিচ্ছে। আমি তখন একটু ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম। হঠাৎ করেই বুঝতে পারলাম ওই কুলাঙ্গারটা স্বমেহন করছে। এটা বোঝার পর আমার মানসিক অবস্থা কেমন হতে পারে! প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আমি বাসচালককে বাস থামাতে বলি এবং বাসের দরজা খুলতে বলি। চালক বাস থামিয়ে আলো জ্বালিয়ে দেন। আর এ ঘটনা অন্য যাত্রীদের দেখাই আমি। অন্য যে দুজন নারী ছিলেন তখন তারাও বলছিলেন যে লোকটা তাদেরও স্পর্শ করার চেষ্টা করেছিল। যদিও তখন তাদের মনে হয়েছিল যে তা অনিচ্ছাকৃত। কিন্তু এ ঘটনা দেখার তারা বুঝতে পারে বিষয়টা ইচ্ছাকৃত ছিল।’

সাবা বলেন, ‘বাসের দরজা বন্ধ করে দিই আমরা। যেন সে পালাতে না পারে। আমরা যাত্রীরা পরিবারের সদস্যদের ডেকে আনি বদমায়েশটাকে একটা শিক্ষা দেয়ার জন্য। আমার আঙ্কেল এসেছিলেন ২৫ জনকে সাথে নিয়ে। তাকে উত্তম-মধ্যম দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো আমার মনে হচ্ছে এটা যথেষ্ট নয়। তাকে যদি ধরে নপুংশক বানিয়ে দিতে পারতাম তাহলে শান্তি পেতাম।’

ad

পাঠকের মতামত