237131

যে কারণে যাত্রাপথে বিমানচালকদের খাবারের মেনু আলাদা হয়

বিমানে ভ্রমণের সময় সকালের নাশতা থেকে শুরু করে দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার দেয়া হয়।তবে সাধারণ বিমানের যাত্রীদের যে ধরনের খাবার খেতে দেয়া হয় তা থেকে বিমানচালক, সহকারী বিমানচালক ও বিমানকর্মীদের সেসব খাবার দেয়া হয় না।বিমানচালকের খাবার সম্পূর্ণ অন্য মেনু।পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, আকাশে ওড়ার সময় উচ্চতাজনিত কারণে বাতাসের অবস্থার পরিবর্তন হয়।এ সময় কৃত্রিমভাবে বাতাসের চাপ ঠিক রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়। তবে কেবিনের বাতাস অনেকটাই হালকা হয় এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক কম থাকে।ফলে স্বাদ বেশ খানিকটা অকার্যকর হয়ে পড়ে। তাই যে খাবার প্রিয় বলে নানা জায়গায় খেয়েছেন, সেই একই খাবার তুলনামূলকভাবে বিস্বাদ লাগে।

বিমানকর্মীদের খাবারের তালিকায় মাছ,মাংস বা হজমে অসুবিধা সৃষ্টিকারী কোনো খাবারই থাকে না।বিমানচালক ও সহকারী বিমানচালকদের খাবারের তালিকাও আলাদা করা হয়, যাতে কোনো একটি খাবার থেকে সমস্যা ছড়ালেও তা সবাইকে অসুস্থ করতে না পারে।১৯৮২ সালে বস্টন থেকে লিসবনে উড়ে যাওয়ার সময় বিমানের ১০ জন কর্মী ভারি পুডিং খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে অসুস্থতা এতটাই বাড়ে যে বিমানটি গন্তব্যস্থল লিসবনে না পৌঁছে বস্টনেই জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়।

ad

পাঠকের মতামত