
বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইলেন মনির খান
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় দলের সব সাংগঠনিক পদ পদবী থেকে পদত্যাগ করেছেন কণ্ঠশিল্পী মনির খান।রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করে তিনি এ কথা বলেন।মনির খান বলেন, রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার সংগীত চর্চা শুরু করব। মাঝখানে যে কটা দিন, যে কটা বছর রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত হবার পর কেটে গেছে, এটি আমার জীবনের অ্যাক্সিডেন্ট ছিল। আমার ভুল ছিল। এই ভুলের জন্য আমি বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।তিনি বলেন, আমি আর কখনও দলে ফিরব না। আমি আমার নিজ জীবন এবং সংগীতচর্চা নিয়ে থাকব।
অতীতের ন্যায় আগামীতেও জনগণ ও দেশবাসীর পাশে থাকব উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি আজ থেকে কোনো দলের অন্তর্ভুক্ত নয়, একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে পূর্বের ন্যায় সংগীত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাব। আমি সবার দোয়া চাই। আমি গানের মানুষ প্রাণ খুলে গান গাইতে চাই।মনির খান বলেন, আমি বাংলাদেশের একজন জাতীয় সংগীত শিল্পী। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) মহাসচিব হিসেবে দলে যোগদান করি। পরবর্তীতে আমার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সহ সংস্কৃতি সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আমার নির্বাচনী এলাকায় কাজ করার নির্দেশনা দেন। আমি সবসময় এলাকার সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের পাশে থেকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছি।দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে মনির খান বলেন, আজ বিভিন্ন অজুহাতে আমার এলাকার জনগণকে এবং আমাকে জাতীয় নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়া হল। এমন অবস্থায় আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রাণের দাবির সঙ্গে একাকার হয়ে বিএনপির সব সাংগঠনিক পদ পদবী থেকে ইস্তফা দিলাম।