235440

সিসিটিভির ফুটেজে মিললো অরিত্রীর বাবা-মাকে ‘অপমানের দৃশ্য’ দেখুন (ভিডিওসহ)

ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে অরিত্রীর বাবা-মাকে ‘অপমানের’ সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার প্রতিষ্ঠানটির সমাজ বিজ্ঞানের সিনিয়র শিক্ষক ও গভর্নিং বডির প্রতিনিধি মুস্তারি সুলতানা তা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দেন।সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসের কক্ষে প্রবেশের পর অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীকে বসতে বলা হয়। এসময় মা-মেয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। অধ্যক্ষ অরিত্রীর বাবার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। এসময় দিলীপ অধিকারীকে বারবার অনুনয় বিনয় করতে দেখা যায়। কিন্তু অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস না সূচক কথা বলেন।এক পর্যায়ে অরিত্রীর বাবা-মাকে হাত নেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসময় অরিত্রী কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলেও, তার বাবা-মা দাঁড়িয়েই থাকেন। তারা বারবার অধ্যক্ষের কাছে ক্ষমা চাইতে থাকেন। কিন্তু তাতেও মন গলেনি অধ্যক্ষের।

জানা যায়, বার্ষিক পরীক্ষায় নকলের অভিযোগে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী ও মা বিউটি অধিকারীকে ডেকে পাঠায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথমে তারা প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে যান। কিন্তু তিনি তাদের অপমান করেন। এসময় মেয়ের টিসি নিয়ে যেতে বলা হয়।পরে অরিত্রীর বাবা-মা অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসের কক্ষে যান। সেখানেও মেয়ের সামনেই একই ধরনের আচরণের মুখোমুখি হন তারা। এসময় অরিত্রী ও তার বাবা-মা অধ্যক্ষের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। উল্টো তাদেরকে অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে তার বাবা-মা বাড়ি গিয়ে দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।প্রসঙ্গত, অরিত্রী অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচণা দানের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন-অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, বেইলি রোড শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক জিনাত আরা এবং ক্লাস টিচার হাসনা হেনা।

ad

পাঠকের মতামত