231990

যে বিষয়ে প্রেমিকারা প্রায়ই মিথ্যা বলে

ভালোবাসার সম্পর্কে কমবেশি মিথ্যা কথা প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়েই বলে থাকেন। কেউ নিজের স্বার্থে অথবা কোনো বিপদে পড়ে, কিংবা মজা পাবার জন্য মিথ্যা কথা বলে থাকেন প্রায় প্রতিদিনই।আপাত দৃষ্টিতে এ ধরনের মিথ্যা কথাগুলো বলা মাঝে মাঝে জরুরি মনে হয়। এমনিই কিছু মিথ্যা কথা মেয়েরা তার প্রেমিকের সাথে বলে থাকেন। সবাই যে এমনটি করেন তা ঠিক নয়, কিন্তু বেশিরভাগ মেয়েদের মধ্যেই এই মিথ্যাগুলো বলার প্রবণতা দেখা যায়।আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো এমনই কিছু বিষয় যা নিয়ে প্রেমিকারা সাধারণত মিথ্যা বলে থাকে-

বয়স : বয়স সবাই লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। ছেলেরা জন্মদিনে বয়স প্রকাশ করলেও মেয়েরা কিছুতেই এটি প্রকাশ করতে চান না। আর প্রেমিক কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে আলাপে বয়স প্রসঙ্গ উঠলে এড়িয়ে যান মেয়েরা। যদি অগত্যা বলতেই হয় তবে বয়স কমিয়ে বলেন মেয়েরা। এর পেছনে অবশ্য একেকজনের একেকরকম যুক্তি বা উদ্দেশ্য থাকে।

আগের প্রেম : ভালোবাসা যতই গভীর হোক না কেন কোনো মেয়েই প্রেমিকের কাছে তার আগের প্রেমের কথা স্বীকার করতে চান না। এটিও সত্যি যে পুরুষরাও সেটি শুনতে পছন্দ করেন না। এ বিষয়টি অবশ্য পুরুষের ক্ষেত্রেও অনেকটাই বলা চলে।নিজের দোষ:নিজের দোষ বা ভুল স্বীকার করতে চান না মেয়েরা। বিশেষ করে স্বামী বা প্রেমিকের সামনে মেয়েরা কখনই নিজের দোষ স্বীকার করেন না। বরং ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এটিই প্রমাণ করতে চান যে, অন্য সবাই দোষী বা ভুল বলছে, কিন্তু তিনি দোষী নন বা তার কোনো ভুল নেই।

নিজেকে নিরীহ একজন হিসেবে প্রেমিকের সামনে উপস্থাপন: বেশিরভাগ মেয়েই তার নিজের বন্ধুবান্ধব কিংবা নিজের জগতে যতই কুটিল কিংবা রাগী বা জেদি হোক না কেন, নিজের প্রেমিকের সামনে নিজেকে নিরীহ ও শান্তশিষ্ট ভাবে উপস্থাপন করার জন্য মিথ্যা বলে থাকেন।আমাকে সবাই বোকা বলে, আমি সবার সাথে কুটনামি করে কথা বলতে পারি না, আমাকে সবাই খেপায় এই ধরনের ন্যাকামি কথা যা মেয়েরা বলেন, তার প্রায় সবই মিথ্যা। নিজেকে নিরীহ একজন হিসেবে প্রেমিকের সামনে উপস্থাপন করতেই এই মিথ্যার আশ্রয়।

উত্যক্ত করছে অন্য পুরুষ: এই কাজটি অনেক মেয়েই করে থাকেন। সম্পর্কে নিজের গুরুত্ব ও প্রেমিকের কাছে নিজের দাম বাড়ানোর জন্য অনেক মেয়ে মিথ্যা বলে থাকেন। এই ধরনের মিথ্যার মধ্যে পড়ে উত্যক্ত করার ব্যাপারটি। অনেক মেয়েকে তার প্রেমিকের কাছে অভিযোগ করতে দেখা যায় যে তাকে অনেকেই ফোনে উত্তক্ত করে । অনেকক্ষেত্রেই এই উত্তক্ত করার কথাটি মিথ্যা থাকে। আসলে এই ধরনের কথা বলে মেয়েরা প্রেমিককে জানাতে চান অনেক ছেলে তার হ্যাঁ বলার জন্য অপেক্ষা করছে। মেয়েরা ভাবেন এতে করে তার প্রেমিক তাকে আলাদা গুরুত্ব দেবেন।

নিজের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বাড়িয়ে বলা: নিজের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বাড়িয়ে বলার প্রবণতা প্রায় সব মেয়ের মধ্যেই দেখা যায়। বাবার সহায় সম্পত্তি কিংবা ভাইয়ের প্রতিপত্তির ব্যাপারে বাড়িয়ে বলে নিজেকে দুর্লভ একজন হিসেবে উপস্থাপন করতে ভালোবাসেন অনেক মেয়েই। বাবাকে অনেক বড় কেউ হিসেবে বললে প্রেমিক তাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেবেন ভেবে এই ধরনের মিথ্যা কথা বলতে দেখা যায় মেয়েদেরকে। নিজেকে এই মিথ্যার মাধ্যমে দুর্লভ করে তুলতে পছন্দ করেন অনেক মেয়েই।

অন্য নারী প্রসঙ্গ: স্বামী কিংবা সঙ্গীর মুখে অন্য নারীর প্রশংসা কোনো নারীই সইতে পারে না। এ জন্য অন্য নারীর প্রসঙ্গে অনেক মেয়েই নিজের প্রেমিক বা স্বামীকে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর পেছনে ঈর্ষা, নিরাপত্তাহীনতা বা হীনমন্যতা কাজ করে।সঙ্গীর উপার্জন: স্বামীর উপার্জন নিয়ে প্রায়ই মিথ্যে বলেন মেয়েরা। বান্ধবী কিংবা পাশের বাসার লোকজনের কাছে বেতন একটু বাড়িয়ে বলেন মেয়েরা। আর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় স্বজনের কাছে স্বামীর আয় কমিয়ে বলেন।

ফেসবুক: ফেসবুক-টুইটারে নিজের জীবনের বিষয়ে অযথা মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করেন অসংখ্য মেয়েরা। নিজের যে ব্যক্তিগত বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় না বললেই নয়, সে বিষয়গুলোও অকারণে রঙ ছড়িয়ে পরিবেশন করেন।নিজের সৌন্দর্যে: নিজের সৌন্দর্য কিংবা রূপচর্চার বিষয়ে নারীরা একেবারেই মুখ খুলতে চান না। অথচ সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য বেশিরভাগ মেয়েরই চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেন না। নানারকম ডায়েট, রূপচর্চা, পার্লারে যাওয়া ইত্যাদি চলতেই থাকে। অথচ কেউ জানতে চাইলে বলেন, আমি কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করি না।এ বিষয়গুলোতে শুধু মেয়েরাই নয়, কখনও কখনও পুরুষরাও মিথ্যে বলেন। তবে, বাস্তবে সম্পর্কতে এমনটা কারোই কাম্য না।

ad

পাঠকের মতামত