229831

ভাইরাস জ্বর বুঝবেন যেভাবে

ঋতু পরিবর্তনের ফলে এখন সব বয়সের মানুষ ঠাণ্ডাজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। হুটহাট করে ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।সম্প্রতি চারপাশে ভাইরাস জ্বরের ছড়াছড়ি। ভাইরাস জ্বর এখন জটিল আকার ধারণ করছে।তবে ভাইরাস জ্বর হলে অনেকে বুঝতে পারেন না। আসুন জেনে নেই কীভাবে বুঝবেন সাধারণ ভাইরাস জ্বর।

জ্বরের লক্ষণ: ভাইরাস জ্বরের প্রথম লক্ষণ স্বাভাবিক জ্বরের মতোই।ভাইরাস জ্বরে সাধারণত প্রথমেই জ্বর অনেক বেশি আসে। প্রথম থেকে দেখা যায় জ্বরটা শুরু হয়। জ্বরের মাত্রা থাকে অনেক। প্রায় ১০৩/১০৪-এ উঠে যায়।প্যারাসিটামল: জ্বর নামাতে সাধারণ প্যারাসিটামল খেয়ে থাকি আমরা। অনেক সময় দেখা যায় জ্বর তিন দিনেও কমে না। রোগীর স্বাভাবিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে। যেহেতু রোগীর জ্বর বেশি থাকে। তার ভালো লাগে না।

মাথাব্যথা: ভাইরাজ জ্বরে মাথাব্যথা থাকতে পারে। নাক দিয়ে পানি ঝরতে পারে, কাশি হতে পারে। কখনো কখনো শ্বাসতন্ত্রকে যুক্ত করে। দীর্ঘ সময় ধরে জ্বরটা একই রকমভাবে চলছে।

মাংসে বা জয়েন্টে ব্যথাভাইরাস জ্বরের সঙ্গে অন্য অনেক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন ধরুন ব্যথা, সেটা মাংসে বা জয়েন্টে হতে পারে। জ্বরের সঙ্গে গায়ের মধ্যে র‌্যাশ বা লুনতি দেখা দিচ্ছে। তখন চিন্তা করতে হবে আমি সম্ভবত অন্য কোনো ভাইরাস জ্বরে ভুগছি।

রোগীর অবস্থার অবনতি: ভাইরাস জ্বর আট-দশটি সাধারণ জ্বরের মতো নয়। রোগী অনেক বেশি ল্যাথার্জিক হয়ে যায় ও নেতিয়ে পড়ছে। জ্বরের মাত্রার তুলনায় রোগীর স্বাভাবিক অবস্থার অবনতি অনেক বেশি।……………
বমি করা: জটিল ভাইরাস জ্বররের রোগী অনেক বেশি বমি করে। যখন দেখবেন রোগী অনেক বেশি বমি করছে, রোগী খাচ্ছে না। তখন একটু সতর্ক হতে হবে।

যথেষ্ট পরিমাণ পানি, ওরস্যালাইন খায়: জ্বর হলেই রোগীর শরীর থেকে যথেষ্ঠ পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। রোগী যেন যথেষ্ট পরিমাণ পানি, ওরস্যালাইন খায়। অর্থাৎ তার শরীরের পানি যেন ঠিক থাকে। এছাড়া জ্বরনাশক প্যারাসিটামল ওষুধগুলো ছাড়া অন্য কোনো কড়া ওষুধ যেন দেয়া না হয়।

ad

পাঠকের মতামত