228960

যে দোয়াগুলো পড়বেন নিরাপদ রাত্রিযাপনের জন্য?

নিউজ ডেস্ক।। নিরাপদ যাত্রিযাপনের হাদীসে অনেক দোয়া বলে দেয়া হয়েছে। ঘুমের সময় মানুষ কত ধরণের বিপদের সম্মুখীন হয়। ঘুমের মধ্যে মানুষের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শয়তান প্রভাব বিস্তার করে এবং অনেক মানুষের মধ্যে অপরাধের প্ররচনা দেয়। এজন্য হাদীসের দোআগুলো নিয়মিত পালন করা প্রতেক্যেরই জরুরী । নিম্নে তা দেয়া হলো, রাসূল (সা.) বলেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন ‘আয়াতুল কুরসি’ পড়বে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বদা তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ (বুখারি, হাদিস নং: ২৩১১)

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত : রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কেউ রাতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করে, তবে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (বোখারি ও মুসলিম)।

সূরা কাফিরুন, ইখলাস, নাস ও ফালাক পড়ে ফুঁ দেয়া : সূরা কাফিরুন, এখলাস ও নাস-ফালাক পড়ে শরীরে ফুঁ দেওয়া সুন্নত। নাওফাল আল-আশজায়ি (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) আমাকে বলেছেন, তুমি সূরা ‘কাফিরুন’ পড়ে ঘুমাবে, এতে শিরক থেকে তুমি মুক্ত থাকবে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)  আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতে যখন বিছানায় যেতেন, তখন দুই হাত একত্রিত করে তাতে সূরা এখলাছ, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁক দিতেন। অতঃপর মাথা ও চেহারা থেকে শুরু করে যত দূর সম্ভব দেহে তিনবার দুই হাত বুলাতেন।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫০১৭)

ঘুমানোর দোয়া পড়া ; রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি শয়নের পর আল্লাহর নাম নেয় না, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বঞ্চনা নেমে আসবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৫৬) হাদিস শরিফে ঘুমানোর আগে কয়েকটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে। সবগুলো দোয়া পড়তে না পারলেও ছোট এ দোয়াটি পড়া যায়: ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ ! তোমার নামে আমি শয়ন করছি এবং তোমারই দয়ায় আমি পুনর্জাগ্রত হব।’

বিছানা পরিস্কার করা বা ঝেড়ে নেয়া : শয্যা গ্রহণের আগে বিছানা ঝেড়ে নেওয়া উচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যদি তোমাদের কেউ শয্যায় যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গির দ্বারা বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ সে জানে না যে বিছানার ওপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোনো কিছু আছে কি না। তারপর এ দোয়া পড় হে আমার রব! আপনারই নামে আমার শরীরটা বিছানায় রাখলাম এবং আপনারই নামে আবার উঠব।’ (বুখারি, হাদিস নং : ৬৩২০)

ad

পাঠকের মতামত