226654

একজন পুলিশের মহানুভবতা!

পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, অন্যায় ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু, এসবের ভিড়ে ভালো ও উদার মনের পুলিশ সদস্যও আছে। যারা সারাদিন রাস্তায় গরমে ঘেমে দাঁড়িয়ে থেকেও সাধারণ মানুষকে যেকোন বিপদে সাহায্য করার আশা টুকু যাদের মন থেকে কখনও সরে যায় না।এমনই এক পুলিশ সদস্য মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে ভোলায়।রবিবার(৪ নভেম্বর) সকালে তিনি এ মহানুভবতার পরিচয় দেন। মহানুভবতা পরিচয়দানকারী পুলিশ ভোলা ট্রাফিক পুলিশের একজন এএসআই শাহে আলম।

রবিবার সকালে ডিউটির ফাঁকে ভোলা শহরের বাংলা স্কুল মোড়ে এসে দেখেন এক অসহায় পথশিশুর পায়ের উপর দিয়ে মোটর চালিত রিকশা চলে যায়। শিশুটি ব্যাথায় রাস্তার উপর কাতরাচ্ছে। তিনি শিশুটির এ অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে নিজ মোটরসাইকেলে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে দেখে এক্সরে করতে বলে। এক্সরে করে দেখা যায়, পায়ের গোড়ালী ভেঙ্গে গেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির পা ব্যান্ডেজ করে প্রেসক্রিপশন দিয়ে দেন। এএসআই শাহে আলম নিজের পকেটের টাকায় ওষুধ কিনে শিশুটির গ্রামের বাড়ি আলগীতে পৌঁছে দেন।

পুলিশ শাহে আলমের এই বিষয় এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল। আলোচনার ঝড় তুলে সকল পেশার মানুষ। সকলে মনে করেন, এমন যদি সকল পুলিশ সদস্য হতো তাহলে পুলিশের প্রতি মানুষের খারাপ মনোভাব আর থাকতো না।জানতে চাইলে এএসআই শাহে আলম বলেন, আমি সকালে ডিউটিতে ছিলাম। হঠাৎ করেই দেখি রাস্তার পাশে শিশুটি চিৎকার দিচ্ছে। দৌড়ে গিয়ে দেখি অসহায় ছেলেটিকে রিক্সা চাপা দিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে। সাথে সাথে আমার গাড়িতে উঠিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে বাড়িতে মায়ের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসি।তিনি আরও জানান, শিশুটির জন্য আমি যা করেছি তা আমার দায়িত্ব এবং আমার বিবেকের তাড়নায় এটি করেছি।

ad

পাঠকের মতামত