226091

বিশ্বকাপে লিটন-রুবেল-মুস্তাফিজে অধিনায়কের আস্থা

তিনজনের মধ্যে রুবেল হোসেন বল হাতে অনেকদিন ধরে দেশকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলার অন্যতম নায়ক তিনি। বাকী দুজন লিটন দাস আর মুস্তাফিজুর রহমান অপেক্ষাকৃত তরুণ। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে নিজেদের প্রমাণ করে যাচ্ছেন। তাই আগামী ২০১৯ বিশ্বকাপে সিনিয়র পঞ্চ পাণ্ডবের বাইরে একাদশের বাকী জায়গাগুলোর জন্য এই তিনজনের ওপর আস্থা রাখতে চান ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাশ বলেন, ‘আল্লাহ যদি সবাইকে সুস্থ রাখে তাহলে কিছু প্লেয়ার আছে যাদের নিয়ে আপনার চিন্তা করার সুযোগ। নাম বললে হয়তো বা সাকিব, মুশফিক, তামিম, রিয়াদের ক্ষেত্রে হয়তো আমাদের চিন্তা করার সুযোগ কম। একই সাথে মুস্তাফিজ, রুবেল ও লিটন আছে; এরাও ভালো করছে। তবে একটি কথা আগেও বলেছি, ব্যাকআপ প্লেয়ার আমাদের অনেক কম। বিশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করার মতো ব্যাকআপ।’

অধিনায়কের স্বীকারোক্তিতেই পরিস্কার, একের পর এক তরুণ ক্রিকেটারের অভিষেক ঘটানো হলেও বাংলাদেশের পাইপলাইনে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার নেই‍! ইংল্যান্ডের মাটিতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপটির বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দল দেশের মাটিতে চলতি বছরে খেলবে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। নতুন বছরে খেলা রয়েছে নিউজিল্যান্ডের সাথে। এই সিরিজগুলো দিয়েই মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক এবং মাহমুদুল্লাহর বাইরে একাদশের বাকী জায়গাগুলো পূরণ করতে হবে।

ম্যাশ বলেন, ‘এখন আস্তে আস্তে ঘরোয়া ক্রিকেটে শক্তিশালী হচ্ছে, ক্রিকেটাররাও নিজে থেকে খেলতে চাচ্ছে। এরকম খেলতে থাকলে সুযোগ তৈরি হবে এবং ব্যাকআপ খেলোয়াড় তাড়াতাড়ি চলে আসবে। সেই ক্ষেত্রে আমি মনে করি কিছু পজিশন আছে সেখানে বিশ্বকাপের কথা যদি চিন্তা করি সাইফউদ্দীন, ফজলে রাব্বি অবশ্যই সেটা। কারণ সাকিবের যদি আল্লাহ না করুক সমস্যা হয়ে যায়, যেমন এখন ও সমস্যায় আছে, তখন কাউকে না কাউকে দিয়ে বাঁ-হাতি স্পিন ও ব্যাটসম্যানের অভাব পূরণ করার ব্যাপারে আমাদের চিন্তা করতে হতে পারে।’

২০১৯ বিশ্বকাপ উপলক্ষে সবগুলো দেশ আরও আগে থেকেই দল গোছানো শুরু করেছে। বাংলাদেশ দলটি এখনও স্থিতিশীল বলা যায় না। বিশ্বকাপের মাত্র কয়েকমাস বাকী আছে। এর মধ্যে দলকে স্থিতিশীল করা চ্যালেঞ্জ বলেও জানালেন মাশরাফি, ‘অবশ্য এত কম সময়ে এটা সম্ভব না। কিন্তু সুযোগগুলো আমাদের দেখতে হবে, নিতে হবে। সেই সব জায়গা চিন্তা করেই কিন্তু এরা ১৫ সদস্যে এসেছে। একই সময়ে এটাও ঠিক আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো হারা যাবে না। সো আমাদের আরো হিসেবি হতে হবে। এবং সেরা একাদশ ওমনভাবেই সাজাতে হবে। আস্তে আস্তে একজন দুইজন করে হয়তো বা আমাদের দেখতে হবে।’

ad

পাঠকের মতামত