কলকাতাকে প্রথম থেকেই আপন মনে হয়েছে : জয়া
বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা জয়া আহসান। বাংলাদেশ-ভারত দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয়। কলকাতার বেশ কয়েকটি বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন এ শিল্পী। ‘রাজকাহিনী’ ও ‘বিসর্জন’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রসংসাও কুড়িয়েছেন। হাতে রয়েছে আরও কয়েকটি বাংলা ছবি।
দুই বাংলার জনপ্রিয় এ অভিনয় শিল্পী বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন বিরসা দাসগুপ্ত পরিচালিত ক্রিসক্রস ছবির শুটিংয়ে। সম্প্রতি কলকাতা হইচইয়ে বিসর্জন ছবির প্রিমিয়ারে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জাগো নিউজের প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ারের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন জয়া।
তিনি বলেন, ‘আমি তো এখন এপার (কলকাতার) বাংলারও হয়ে গেছি। আমি কোনও সময়ে ভাবতাম না যে, আমি ওপার বাংলার। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি যখন কাজ শুরু করেছিলাম, তখন কিন্তু এপার-ওপার ভেবে কাজ শুরু করিনি। আমি শুধু ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছি।’
জয়া আহসান বলেন, ‘তিনটি ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি। আমার প্রযোজনায় একটা ছবি আসছে। হুমায়ুন আহমেদের দেবী অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সেটা একদম বাংলাদেশের ছবি। তবে ইচ্ছে আছে এখানেও (কলকাতা) ছবিটি নিয়ে আসার।’
দুই বাংলার ব্যস্ত এ অভিনয় শিল্পী বলেন, ‘আমি কোনও সময় দৌড়াতে চাইনি। সবসময় আস্তে আস্তে চলতে শিখেছি। আমার কাছে যে সমস্ত ছবির অফার আসতে থাকে সেগুলো সবই প্রায় এক ধরনের ছিল। তবে কৌশিক দা বা সৃজিত দা যে ছবিগুলো আমায় অফার করেছেন, সব ক’টা বেশ চ্যালেঞ্জিং। নিজেকে রোজ নতুন করে প্রমাণ করতে হয়েছে।’
দুই বাংলার কাজের পার্থক্য প্রসঙ্গে জয়া বলেন, ‘দুই জায়গায় কাজের ডিফারেন্স সেরকমভাবে কিছু নেই। বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতি এক রকম। কাজের ক্ষেত্রে কিছু কাঠামোগত পার্থক্য রয়েছে। আমাদের ওখানেও (বাংলাদেশ) খুব ভালো কাজ করছেন পরিচালকরা। আর এখানেও এত ভালো ভালো সব ছবি আসছে। আমার কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে, খুব সামান্য একটা পার্থক্য হয়তো আছে।’
বাংলাদেশের সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘বাংলাদেশে বেশ কয়েকটা ছবি আসছে। যার মধ্যে একটার শুটিং শেষ করলাম। ছবির নাম ‘বিউটি সার্কাস’। ছবিতে আমি একজন সার্কাসের মালিক। খেলা দেখাই। এই ছবিতে কাজ করা খুব চাপের ছিল। আমায় জিমন্যাস্টিক শিখতে হয়েছে। এটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। আরও বেশ কিছু ভালো ছবি আসছে।’