213606

কারাগারে সালমান খান

বিলুপ্তপ্রায় কৃষ্ণসার প্রজাতির হরিণ শিকার মামলায় দোষী সাব্যস্ত বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের যোধপুর আদালত। একই সঙ্গে তার ১০ হাজার রুপি জরিমানাও করা হয়েছে। রায় শেষে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাবাং খানকে।




৫ বছরের জেল হওয়ায় জামিনের জন্য সেশনস কোর্টে যেতে হবে সালমানকে। ৩ বছরের কম সাজা হলে যোধপুর আদালতই আজ তাকে জামিন দিতে পারত।

জানা গেছে, এরই মধ্যে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া রায় ও সাজার নির্দেশের বিরুদ্ধে সালমানের পক্ষ থেকে দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন পেশ করা হয়েছে। আগামীকাল বেলা সাড়ে দশটায় তার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে আজকের রাতটা সালমানকে কাটাতে হবে জেলেই।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ৫২ বছর বয়সী সালমান রায়ের সময় আদালতে তার কালো রঙের ‘লাকি’ শার্টটি পরে এসেছিলেন। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত সালমানের দুই বোন আলভিরা ও অর্পিতা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
২০ বছরের পুরনো এই মামলায় অভিনেতা সাইফ আলী খান ও অভিনেত্রী টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ২৮ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খত্রি এ রায় দেন। এর আগে গত ২৮ মার্চ মামলার চূড়ান্ত আবেদন যোধপুরের একটি গ্রাম্য আদালতে সম্পন্ন হয়।

এই মামলায় সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে যোধপুর প্রদেশের কাঙ্কানি গ্রামে গিয়েছিলেন। শুটিং চলাকালে ১ ও ২ অক্টোবর রাতে আলাদা আলাদা দুটি জায়গায় সালমান কৃষ্ণসার শিকার করেন।

এ সময় তার সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সহ-অভিনেতা সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, টাবু ও নিলম।
মামলার অন্য এক আসামি ধুশিয়াত সিংও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ধুশিয়াতের ওপর অভিযোগ আনা হয়, তিনি সালমানসহ অন্য অভিনেতাদের হরিণ শিকার করতে নিয়ে গিয়েছিলেন।

পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবাং খান ভারতীয় বন্যপ্রাণী প্রতিরক্ষা দণ্ডবিধির ৫১ ধারার সম্মুখীন হয়েছেন। এই ধারা মোতাবেক তার সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত জেল হতে পারতো।

সকাল ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হন সালমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দুই বোন অলবিরা ও অর্পিতা। রায়ের আগে দেখা যায়, নিজ চেম্বারে বসে প্রার্থনা করছেন সালমানের উকিল।

এর আগে ২০০২ সালে মুম্বাইয়ে সালমানের গাড়ি চাপায় ফুটপাতে শুয়ে থাকা এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৫ সালে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল একটি আদালত। পরে উচ্চ আদালত থেকে ওই মামলায় খালাস পান তিনি।

ad

পাঠকের মতামত