213382

শাকিবের ‘চালবাজ’ এর প্রতিদ্বন্দ্বী কারা?





বিনোদন ডেস্ক।। কলকাতায় সিনেমা মুক্তির সিজন দুর্গাপূজা। ছবি রিলিজ নিয়ে লেগে থাকে জোর লড়াই। গত বছর মুক্তি পেয়েছিল ৬টি ছবি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে বাংলা নববর্ষও। আর এই মৌসুমেই মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খানের ‘চালবাজ’। ভারতীয় লগ্নিতে নির্মিত সিনেমাটির পরিচালক জয়দীপ মুখার্জি, নায়িকা হিসেবে আছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি।

স্থানীয় এক পত্রিকার প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে এ উৎসবের সিনেমার ফিরিস্তি। সেখান থেকে দেখা যাক কারা শাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী। এবার কলকাতায় নতুন নজির তৈরি হচ্ছে। পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের ‘কবীর’ ছাড়াও ‘শঙ্কর মুদি’ও মুক্তি পেতে পারে একই দিনে। তবে প্রযোজক কৌস্তুভ রায়ের জেলযাত্রার কারণে ‘শঙ্কর মুদি’র মুক্তি সংশয়ে।

আরো আসছে হরনাথ চক্রবর্তীর ‘কাঁটায় কাঁটা’, অঞ্জন দত্তর ‘আমি আসবো ফিরে’। সাথে আছে জয়দীপ মুখার্জির ‘চালবাজ’। একে ‘আকর্ষণ’ হিসেবে উল্লেখ করছে পত্রিকাটি।

‘কবীর’-এর প্রযোজক ও নায়ক দেব জানালেন, ‘‘আটটা ছবির সঙ্গে লড়েছি, আর ভয় নেই। গত বছর পুজোর সময়েই জানিয়েছিলাম, ‘কবীর’ মুক্তি পাবে নববর্ষে। পরে শুনলাম, ওই দিন মুক্তি পাচ্ছে এত ছবি। এক ছাদের তলায় ইন্ডাস্ট্রির আসতে সময় লাগবে। তবে আমরা চেষ্টা করছি। বুম্বাদার ‘দৃষ্টিকোণ’ তো পিছিয়ে গিয়েছে।’’

পরিচালক অনিকেতের দু’টি ছবি একই দিনে মুক্তি পাওয়ার কথা উঠলেও একে সৌভাগ্য হিসেবে দেখতে নারাজ তিনি। ‘‘দুটো ছবি আলাদা দিনে মুক্তি পেলে সেই উত্তেজনার শরিক থাকতে পারতাম।’’ তবে নিজের ছবির কনটেন্ট নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী অনিকেত।

এদিকে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দৃষ্টিকোণ’-এর মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও ছবির প্রযোজক নিসপাল সিং পিছিয়ে দিয়েছেন ছবির মুক্তি। পরিচালক হিসেবে ভিড় এড়ালেও ‘শঙ্কর মুদি’ মুক্তি পেলে অভিনেতা কৌশিকও সামিল হবেন প্রতিযোগিতায়।




অনেক দিন ধরেই বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিনে নিজেদের ছবি নিয়ে হাজির থাকে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস তথা এসভিএফ। ব্যতিক্রম হচ্ছে না এ বছরও। অঞ্জন দত্তর ‘আমি আসবো ফিরে’ও মুক্তি পাবে নববর্ষের প্রাক্কালেই। ছবির অন্যতম প্রযোজক মহেন্দ্র সোনি জানালেন, ‘‘এবারও আমরা ভাল ছবি নিয়ে আসছি। আশা করি দর্শকের ভালোই লাগবে।’’

সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে যোগ দিচ্ছেন নবাগত প্রযোজক ইন্দ্রজিৎ রায়ও। তার প্রযোজনায় ‘কাঁটায় কাঁটা’ মুক্তি পাবে নববর্ষে। জানালেন, ‘‘বাকিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নিজেদের মান যাচাই করতেই এই সিদ্ধান্ত।’’

এসব দেখে ‘চালবাজ’-এর প্রযোজক অশোক ধানুকা বলছেন, ‘‘এখানে দু’ধরনের ছবি হয়। একটা মাল্টিপ্লেক্সের, অন্যটা সিঙ্গল স্ক্রিনের। ‘চালবাজ’ বাদে সব ছবিই মাল্টিপ্লেক্স মুভি। সিঙ্গল স্ক্রিনগুলোরও তো নতুন ছবির প্রয়োজন। সেই চাহিদা থেকেই ‘চালবাজ’ নিয়ে আসছি।’’

এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশের সুপারস্টার কলকাতায় কতটা মাত করতে পারেন, নাকি ছবি হিটের জন্য নিজ দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়?

ad

পাঠকের মতামত