211131

‘কোনো কথা হয়নি’ মওদুদকে সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে: দাবি বিএনপির

নিউজ ডেস্ক।।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার আইনজীবী প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলে দাবি করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি জয়নুল আবেদীন।

আজ মঙ্গলবার ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকায় ‘মওদুদকে সরে দাঁড়াতে বললেন খালেদা জিয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন জয়নুল আবেদীন।

বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার ‘দৈনিক আমাদের সময়’-এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়ার মামলার কার্যক্রম পরিচালনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে আর যুক্ত থাকতে পারছেন না দলের অন্যতম নীতিনির্ধারক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। দলের এই স্থায়ী কমিটির সদস্যকে তার সব মামলার কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। অর্থাৎ এখন থেকে বেগম জিয়ার মামলায় মওদুদ আহমদকে দেখা যাবে না। তবে দলীয় কার্যক্রমে স্বাভাবিকভাবেই অংশগ্রহণ করতে পারবেন তিনি।’

এ সংবাদের বিষয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের সময় পত্রিকায় একটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। আমরা ছয়জন গিয়েছিলাম (কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে)। সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, আব্দুর রেজাক খান ও সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।’

‘কেন, এ সংবাদের বিরোধিতার কারণ কী? ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একজন সিনিয়র আইনজীবী, নামকরা আইনজীবী। বয়োজ্যেষ্ঠ আইনজীবী তার একটা সুনাম আছে। এ নিউজ শুধু তার সুনামই ক্ষুন্ন হয়নি, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে দ্বিধাবিভক্ত করার। আইনজীবী সমাজ আন্তরিকতার সাথে, সমন্বয়ের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক মামলা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করছি’ বলেও জানান তিনি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বারে জয়লাভের পর আমরা ছয়জনের একটি আইনজীবী দল গিয়েছিলাম। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাহেবের অন্য প্রোগ্রাম ছিলো। সে জন্য তিনি আমাদের সঙ্গে যাননি। এখানে অন্য কোনো কারণ নয়। ছয়জনকে প্রথমে অভিনন্দিত করেছেন (সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বানে জয়লাভের জন্য) খালেদা জিয়া।’

“সেখানে মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদেরকে বলেছেন নিজেরা, ‘যেভাবে কো-অর্ডিনেট করছেন, সেভাবে চালিয়ে যান।’ তিনি (খালেদা জিয়া) অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া আইনি মোকাবেলা করে মুক্ত করবো সেটা তিনিও বিশ্বাস করেন। আমরা বলেছি, ‘সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন, আপনাকে বেশিদিন রাখতে পারবে না।’”

আজ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি দেখিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, “নিউজটি খুবই দুঃখজনক। ‘মওদুদকে সরে দাঁড়াতে বললেন খালেদা জিয়া।’ কাকে বললেন? এই সাংবাদিক সাহেবকে বললেন? যে আমি নির্দেশ নিচ্ছি যে মওদুদকে সরে দাঁড়াতে বলেন। আমরা সবাই উপস্থিত ছিলাম। আমাদের সঙ্গে তো এ রকম কথা হয়নি। এ রকম কোনো কথাই বলেননি।’

‘এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় প্রতিবাদ পাঠানো হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এ সংবাদ সম্মেলনই প্রতিবাদ। এর মাধ্যমেই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ‘মওদুদ আহমদের সাবমিশন থেকে অনেক কিছু আমাদের শেখার আছে। জুনিয়র আইনজীবীদের শেখার আছে। কখনো তিনি বিরক্ত হন না। এ রকম একজন প্রথিতযশা আইনজীবীকে খালেদা জিয়া কি বলতে পারেন আপনি এ মামলার মধ্যে থাকবেন না? এ সংবাদ মিথ্যা, বানোয়াট।’

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নাই। আমাদের সময়ের সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জে মোহাম্মদ আলী ও যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।

ad

পাঠকের মতামত