207980

‘সম্পর্কে কিছুটা স্বার্থপর হওয়া প্রয়োজন নারীদের, কারণ…’

‘স্বার্থপর’ শব্দটা সবসময়ই নেতিবাচক অর্থ বহন করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মেয়েদের এক-আধটু স্বার্থপর হওয়া ভালো। তাদের ব্যাখ্যাটা জানলে আপনারও মনে হতে পারে ঘটনা সত্য।

এমনিতেই নারীরা অনেক বেশি মায়াবতী এবং অন্যদের খেয়াল রাখতে ওস্তাদ। তার সঙ্গী বা সন্তানের বাড়তি সুখের জন্যে অনায়াসে অনেক দূর চলে যেতে পারেন। এ বিষয়টা নাকি নারীদের ডিএনএ-তে ঢুকিয়ে দিয়েছেন বিধাতা। নিজের প্রয়োজন এবং চাহিদাকে তারা পরিবারের সবচেয়ে নিচে স্থান দেয়। তাই সম্পর্কে অনেক সময়ই নিজের স্বার্থটাকে একটু মূল্য দিতে হয়। এতে বরং ভালো হয় সবার জন্যে। এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সে সম্পর্কে ধারণ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিজের প্রেমে পড়ুন
হিসেবটা সোজা- নিজেকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। প্রত্যেক মানুষ নিজেকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, এটাই স্বাভাবিক। যদিও নারীরা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুখী করতেই বেশিরভাগ সময়টা ব্যয় করে। নিজের সুখ তো আর জলাঞ্জলি দিলে চলবে না, কারণ নিজে সুখী না থাকতে পারলে অন্যদের সুখী করে তোলা কঠিন হয়ে পড়বে। আর নিজের ভালো থাকার চাবিটা আপনার নিজের হাতেই রয়েছে। তাই সময়, আবেগ এবং প্রাণশক্তিতে কিছুটা বিনিয়োগ দরকার। সম্পর্কে সঙ্গীর পাশাপাশি নিজের দিকেও সমান খেয়াল দেওয়ার চেষ্টা করুন।

নিজের ‘না’ এর মূল্য রাখবেন
অনেক সময়ই তো মতামত দিতে হয়। নিজের পছন্দ-অপছন্দের মূল্য রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মেয়েরা তার মতামত বাস্তবায়িত করতে পারে না। বাধা আসে এবং তা মেনেও নিতে হয়। কিন্তু এবার ঘুরে দাঁড়ান। সম্পর্কে নিজের মতামতকে গুরুত্ব দিন। যেটা আপনার ‘না’, তা যেন ‘না’ হিসেবেই গৃহিত হয় সেদিকে মন দিন।

ক্যারিয়ার গুরুত্বপূর্ণ
আপনার সঙ্গী কত আয় করেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু আধুনিক সমাজে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া দরকার। তাই নিজের ক্যারিয়ারের প্রতি গুরুত্ব দিন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বার্থপর হোন। এমনটাই মনে করে বিশেষজ্ঞরা। একবার স্বাবলম্বী হয়ে যখন পরিবার চালাতে নিজে এগিয়ে যাবেন, তখন দেখবেন আপনার গুরুত্ব কতটা বেড়ে গেছে।

নিজের কিছু সময়
প্রত্যেক মানুষের একান্ত নিজের সময় দরকার আছে। এটা যে কেবল পুরুষরাই পেতে পারে তা নয়। নারীদেরও দরকার। সন্তান দেখাশোনার দোহাই দিয়ে তাই এ সময় কেড়ে নিলে চলবে। নিজের একান্ত সময় আলাদা করে উপভোগের সুযোগ তৈরি করুন। এ বিষয়ে ছাড় দেবেন না।

নিজের লেন্সে গোটা পৃথিবী
নারী বলতেই যে সম্পর্কে কোনো ধামাধরা চরিত্র নিয়ে থাকতে হবে এমন খোলস থেকে বেরিয়ে আসুন। জীবনে অভিজ্ঞতা লাভের কোনো সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। নিজের ক্যামেরার লেন্সে গোটা দুনিয়া দেখার চেষ্টা করুন। বিয়ের পর এবং বয়স হলে এ বিষয়গুলো উপলব্ধি হবে। বাচ্চা হওয়ার পরও কিন্তু আপনি ক্যামেরার এই লেন্স উন্মুক্ত রাখতে পারেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজের মতামতকেই বেশি প্রাধান্য দেবেন। সম্পর্কে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার মাস্টারপ্ল্যানটা নিজেরই করতে হবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

ad

পাঠকের মতামত