206999

দাদাকে শেষ দেখা হলো না শ্রেয়ার

দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল সোমবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজে করে বাড়ি যাচ্ছিলেন মেডিকেল ছাত্রী শ্রেয়া ঝা। কিন্তু দাদার মরদেহ দেখা তার হয়নি। নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।

নেপালি ছাত্রী শ্রেয়া ঝা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
তার মৃত্যুর বিষয়টি আরটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন কলেজটির ঢাকা কার্যালয়ের পরীক্ষক সুজন সরকার।
শ্রেয়াদের বাড়ি নেপালের মাহোত্রারী সানফা-৩ এলাকায়। তার বাবার নাম লক্ষ্মণ ঝা ও মায়ের নাম মাধুরী ঝা।
সুজন সরকার আরও বলেন, শ্রেয়া ঝা তার দাদার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মরদেহ দেখার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ তার ছুটি মঞ্জুর করলে সোমবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজে নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

দুপুর আড়াইটার দিকে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি দুর্ঘটনায় পতিত হলে অন্যদের সঙ্গে তারও মৃত্যু হয়।

কুমুদিনী কর্তৃপক্ষ শ্রেয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়।
রতন সরকার জানান, বর্তমানে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ৪২জন নেপালী ছাত্রী লেখাপড়া করছেন। এরমধ্যে ছয়জন শ্রেয়ার ক্লাসমেট।

কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. আব্দুল হালিম বলেন, এ রকম মৃত্যু কারও কাম্য হতে পারে না। শ্রেয়া ঝা’র মৃত্যুতে বুধবার বেলা বারোটায় কলেজ ক্যাম্পাসে প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত