206470

বিধ্বস্ত বিমানের অনেকেই বেঁচে নেই

ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুতে যাওয়া ইউএস-বাংলা’র বিধ্বস্ত বিমানের অধিকাংশ যাত্রীই বেঁচে নেই। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিহতের সঠিক সংখ্যা না জানালেও তাদের বক্তব্য থেকে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নারায়ন প্রসাদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এখন যতো দ্রুত সম্ভব দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত আর আহতদের দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত বিমান থেকে এখনও কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। স্থানটি নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঠিক পাশেই অবস্থিত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ 18 এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিমানের লোহা কেটে হতাহত যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

দুর্ঘটনার কারণে ত্রিভুবন বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সব ধরনের বিমান উঠানামা এখন বন্ধ রয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক মার্কিন নাগরিক জানিয়েছেন, বিমানটি মাটির খুব কাছে দিয়ে উড়ে আসছিল।

প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন সেটি সম্ভবত পাহাড়ের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু পরক্ষণেই দেখেন সেটি মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে তাতে আগুন ধরে যায়। এরপর আরও একটি বিস্ফোরণ ঘটে বলেও জানান তিনি।

অবশ্য অগ্নিযোদ্ধারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী আমেন্ডা সুমারস জানান, বিধ্বস্ত বিমান থেকে যে পরিমাণ ধোঁয়া বের হয় তাতে পুরো আকাশ কালো হয়ে যায়।

এদিকে ইউএস বাংলা এয়ারের একটি সুত্র পরিবর্তনকে জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানে ৩৫ থেকে ৩৮ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। এছাড়া ১৭ জন নেপালী, ১ জন মালয়েশিয়ার এবং ১ চীনা নাগরিক বিমানটিতে ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ২জন শিশু রয়েছে বলে পরিবর্তনকে জানিয়েছেন তিনি।

এস২-এডিইউ মডেলের ৭৮ আসনের টুইন টার্বো প্রোপ বিমানটি ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুতে পৌঁছানোর পর অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এরপর পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু ছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত