
ফাঁস ভিগো লাইভ: আমার রেট অনেক বেশি, এত বেশি দিতে পারবানা (ভিডিও)
দেশি মেয়ের হিন্দি সংলাপ: ম্যারা রেট বহোত জাদা, দে নেহি পাওগে, সামাজমে আয়া ম্যারা বাত (ভিডিও)
দেশি মেয়ের হিন্দি সংলাপ: ম্যারা রেট বহোত জাদা, দে নেহি পাওগে, সামাজমে আয়া ম্যারা বাত (ভিডিও)
বি: দ্র : ই্উটিউব থেকে প্রকাশিত সকল ভিডিওর দায় সম্পুর্ন ই্উটিউব চ্যানেল এর
এর সাথে আমরা কোন ভাবে সংশ্লিষ্ট নয় এবং আমাদের পেইজ কোন প্রকার দায় নিবেনা।
ভিডিওটির উপর কারও আপত্তি থাকলে তা অপসারন করা হবে। প্রতিদিন ঘটে যাওয়া নানা রকম ঘটনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরা এবং সামাজিক সচেতনতা আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ।
অন্যরা যা পড়ছেন…
শাকিবের চেয়ে চালবাজিটা আমিই বেশি করি
বিনোদন.কম।। বিয়ের পরই কাজে মন দিয়েছেন শুভশ্রী। পরের ছবির পোস্টার শ্যুটে সকাল সকাল পৌঁছে গেলেন ফ্লোরে। নায়িকার মুখোমুখি ‘ওবেলা’।
‘ওবেলা’র তরফ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন…!
(হেসে) থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ!
সাম্প্রতিক সময়ে টালিগঞ্জের সবচেয়ে চর্চিত কাপ্ল তাহলে বিয়েটা সেরেই ফেলল?
এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বিয়েটা হয়ে গেল, ব্যস! বিয়ে নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না প্লিজ!
বিয়ের দিন বেশ লাগছিল কিন্তু আপনাকে।
থ্যাঙ্ক ইউ! পূজা প্রসাদের ডিজাইন করা ড্রেস পরেছিলাম সেদিন।
আপনারা যে রেজিস্ট্রি করতে চলেছেন, সেটা তো কাকপক্ষীকেও টের পেতে দেননি। পুরোটাই নাকি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল?
মুখ বন্ধ রাখার ভঙ্গি করে নো কমেন্ট্স! বেশ। বিয়ের পর ‘চালবাজ’ আপনার প্রথম রিলিজ হতে চলেছে। ছবির গল্পটা কেমন?
খুব মজার একটা গল্প দেখানো হয়েছে ছবিতে। সেটা ছবির নাম শুনেই বুঝতে পারছেন। ছবির হিরো (শাকিব খান) সারা ছবি জুড়ে নানা চালবাজি করতে থাকে। এর পিছনে কোনো নোংরা অর্থ নেই কিন্তু। আসলে ও সব কিছুর মধ্যেই টাকার ডিল করে আরকী! মানে ধরুন, আমি বললাম— আমাকে অমুক জায়গায় একটু পৌঁছে দিতে পারবেন? উত্তরে সে বলবে, পৌঁছে দিতে পারি, কিন্তু আমাকে এত টাকা দিতে হবে। আর আমার চরিত্রটা খুব অ্যাম্বিশাস এক মেয়ের। যে বিয়ে করবে না বলে লন্ডনে পালিয়ে যায়। সে চায় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করতে। ছেলেটি এবং মেয়েটি একে অপরের সঙ্গে ফেঁসে যায়। সব মিলিয়ে রম-কম ছবি। দর্শকের ভাল লাগবে।
দ্বিতীয়বার শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন। সেট’এ শাকিব ভাইয়ের ‘চালবাজি’র শিকার হননি?
(হাসি) সেট’এ ওর চেয়ে চালবাজিটা আমিই বেশি করি। ব্যক্তিগত জীবনে শাকিব অসম্ভব শান্ত। কাজের প্রতি অসম্ভব ডেডিকেটেড। ও এত কম কথা বলে, আপনি ভাবতেও পারবেন না! আপনি যদি ওর সঙ্গে ১০০টা কথা বলেন, ও উত্তরে হয়তো পাঁচটা কথা বলবে।
শ্যুটিংয়ের সময় থেকেই তো এই ছবি খবরের শিরোনামে। লন্ডনে কাজের সময় ফেডারেশনের আপত্তিতে শ্যুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছিল প্রযোজকের। আদতে ঘটনাটা কী ঘটেছিল বলুন তো?
দেখুন, আমি এই ছবির প্রযোজক নই। তাই তাদের ঠিক কী সমস্যা হয়েছিল— বলতে পারব না। আবার আমি ফেডারেশনও নই। তাই শ্যুটিং চলতে দেওয়া নিয়ে তাদের কী আপত্তি— সেটাও জানি না। তবে লন্ডনে শ্যুটিংয়ে গিয়েও শ্যুটিং করতে পারিনি, সেটা খুব খারাপ লেগেছিল। শ্যুটিংয়ের দিন শ্যুটিং স্পট থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল! খুব আপসেট হয়েছিলাম। টেকনিশিয়ানরা জানিয়েছিলেন, কাজটা তারা করতে পারবেন না। এই ঘটনার জন্য কে দায়ী— এই নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। কারণ, উভয়পক্ষই তাদের মতামত জানিয়েছেন। তবে সেই মুহূর্তে আমি হিমাংশুকে (ধানুকা, ছবির প্রযোজক) সমর্থন করেছিলাম। তার পিছনেও কারণ ছিল।
কী কারণ? ‘চালবাজ’ নিয়ে ‘এসকে মুভিজ’এর সঙ্গে আমার চুক্তি ছিল। তাই যে কোনও মূল্যে ছবিটা আমাকে শেষ করতেই হতো। আর তা ছাড়াও শিল্পী হিসেবে আমার মনে হয়েছিল, কোনো অবস্থাতেই যেন শ্যুটিং বন্ধ না হয়!
টেকনিশিয়ানরা তো কাজ করতে রাজি ছিলেন। কিন্তু ফেডারেশনের আপত্তির কারণেই নাকি তারা ‘চালবাজ’এর কাজে যোগ দেওয়ার সাহস দেখাননি?
আর্টিস্ট থেকে শুরু করে টেকনিশিয়ান— আমরা সকলেই কাজ করতে চাই। আসলে টেকশিয়ানদের ফেডারেশনটা বড্ড স্ট্রং। আমাদেরও ইউনিয়ন রয়েছে। আর্টিস্ট ফোরাম। তবে ফেডারেশনের মতো আর্টিস্ট ফোরামটা যদি স্ট্রং হতো, তাহলে আমরাও হয়তো ওদের মতো আচরণ করতাম।
ইদানীং প্রায়ই একটা কথা শোনা যাচ্ছে, বাংলা ছবি নাকি চলছেই না…।
গত বছরে আমার ‘বস্ টু’ই কিন্তু সবচেয়ে বড় হিট ছিল! (একটু থেমে) এটাকে কিন্তু আবার আমার অহংকার বলে ধরে নেবেন না। প্রতিটা ছবিরই একটা ভাগ্য থাকে। আমি ছবি করছি বলেই, সেটা সুপারহিট হবে— এমনটাও ভেবে নেওয়ার কোনো মানে হয় না। কোনো অভিনেতার কেরিয়ারের সব ছবি হিট হয় না। আমি ভাগ্যবান, যে আমার কেরিয়ারে বেশ কয়েকটা সুপারহিট ছবি রয়েছে।
যৌথ প্রযোজনার ছবি সম্পর্কে আপনার কী মতামত?
যদি পরিকল্পনামাফিক লাগাতার যৌথ প্রযোজনার ছবি তৈরি করা যায়, তাহলে এর চেয়ে ভাল আর কিছু হতে পারে না! কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি ফোকাস্ড হতে হবে।
নিন্দকেরা আপনাকে নিয়ে একটা কথা বলছেন, জানেন?
(অবাক হয়ে) কী? বিয়ের ছবিগুলোয় আপনার লুক দেখে অনেকের মনে হয়েছে, আপনি সম্ভবত কোনো ফেসিয়াল ট্রিটমেন্ট করিয়েছেন।
তারা যে আমাকে নিয়ে এত আলোচনা করছেন, সেই জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই! আমার কথা ভেবে তারা তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন, ভাবা যায় (হাসি…)!
‘এসভিএফ’এর সঙ্গে আপনার সমস্যাটা এখনও মেটেনি, তাই না?
আই ডোন্ট হ্যাভ এনি প্রবলেম উইথ এনিবডি! হ্যাঁ এটা সত্যি, ওদের সঙ্গে আমার কাজ করা হয় না। (একটু ভেবে) টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন্স নিয়ে বেশ কিছু সমস্যার কারণেই কাজটা আর করা হয়ে ওঠে না। এটা ছাড়া আমার ওদের সঙ্গে সম্পর্ক খুবই ভাল।
শোনা যায়, তাদের কোনো প্রজেক্টে আপনাকে যেন কাস্ট না করা হয়, তা নিয়ে নাকি এক রাজনৈতিক দলেরও চাপ রয়েছে। এটা কি সত্যি?
এই ব্যাপারগুলো আমাকে কোনো ভাবেই এফেক্ট করে না। ব্যক্তিগত জীবনে আমি হ্যাপি গার্ল। স্রোতের সঙ্গে ভেসে চলতে ভালবাসি। নেগেটিভ কোনো বিষয়কে আমল দিতে চাই না। তাহলে আমি নিজেই নেগেটিভিটিতে ভরে যাব। আর একটা কথা আমি খুব বিশ্বাস করি— কেউ কারও ভাগ্য কেড়ে নিতে পারে না। ভাগ্যে আমার যেখানে পৌঁছনো লেখা রয়েছে, সেখানে পৌঁছনো থেকে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না। যদি কোনো রাজনৈতিক চাপ আসেও, তাতে আমার কিছু যায় আসে না! তাতে যদি আমি কাজ না-ও করি, তাতেও কিছু এসে যায় না।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটা-ছেঁড়া হলেও খারাপ লাগে না বলছেন?
(মুচকি হেসে) না… খারাপ লাগে না! আমার পরিবারকে সব সময় পাশে পাই। দে আর ভেরি পজিটিভ অ্যাবাউট মি। ওরা জানে, আমি কী! আমি যেটা করছি, সেটা ভালই করছি— সেটা ওরা বিশ্বাস করে।
আপনি কি জানেন, আপনার বিয়ের পোশাক নিয়ে প্রচুর মিম’এ বাজার ছেয়ে গিয়েছে? মিম’এ লেখা, আপনার বিয়ের পোশাকটি নাকি অনুষ্কা শর্মার পোশাক থেকে কপি করা!
যাঁরা এটা বানিয়েছেন, তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই! তারা যে আমার বিয়ে নিয়ে এতটা ভাবনাচিন্তা করেছেন— দ্যাট্স আমেজিং! বিশ্বাস করুন, যারা এগুলো বানায়, তারা হয়তো ভাবেন এগুলোয় আমাদের খারাপ লাগে। একেবারেই না! বিষয়গুলো যখন আমাদের সামনে আসে, খুব ভাল লাগে। মনে হয়, আমরা জীবনে কিছু হতে পেরেছি।
নায়িকা হিসেবে বিয়েটা একটু তাড়াতাড়িই হয়ে গেল না?
আই অ্যাম অলওয়েজ আ সর্টেট কাইন্ড অফ গার্ল। বিয়ে করার ইচ্ছেটা আমার দীর্ঘদিনের। প্ল্যান করে, কেরিয়ারে অমুক পর্যায়ে পৌঁছে বিয়ে করব— এই ব্যাপারগুলো কোনো দিনই আমার মধ্যে ছিল না। ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে, জীবনে ওর (রাজ চক্রবর্তী) মতো একজন মানুষকে পেয়েছি।
অবশেষ তো ‘ধূমকেতু’ মুক্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
(বেজার মুখে) ‘ধূমকেতু’র কথা উঠলেই আই ফিল ভেরি আপসেট। ছবিটা সত্যিই মুক্তি পাওয়া দরকার। অসাধারণ একটা ছবি। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় যেভাবে গল্পটা বলেছেন— অসামান্য।