
ত্রিভূজ প্রেমের বলি রওনক
রাজধানী ঢাকার শাঁখারীবাজার এলাকায় গত ১ মার্চ হোলি উৎসবে কলেজছাত্র মো: রওনক হোসেন রনোকে (১৭) ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ মার্চ) দিনগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় ছুরিকাঘাতকারী রিয়াদ আলম ফারহানসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকীরা হচ্ছে- মোহাম্মদ ফাহিত আহমেদ আব্রু, মো: ইয়াসিন আলী, মো: আল আমিন ওরফে ফারাবী খান, মোছা: লিজা আক্তার ওরফে মাইশা আলম।
ডিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি) সুমন কান্তি চৌধুরী জানান, হোলি উৎসবে কলেজছাত্র খুনের ঘটনা উদঘাটন করা হয়েছে এবং জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মার্চ) বেলা ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
নিহতের বন্ধু মাসুম জানান, রওনকসহ তারা চার বন্ধু হোলি উৎসব দেখতে পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার এলাকায় যান। সেখানে কয়েকজন যুবক রওনককে ছুরিকাঘাত করে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক বেলা দেড়টায় মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাইশা নামে এক মেয়ের সঙ্গে রওনকের প্রেমের সর্ম্পক ছিলো। রওনক সেই সর্ম্পক ছিন্ন করে তুহু নামে আরেকটি মেয়ের সঙ্গে সর্ম্পকে জড়ায়। হোলি উৎসবের দিন সকালে মোবাইল ফোনে রনোকে ডেকে আনে তার সাবেক প্রেমিকা মাইশা। এলাকার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে রনো শাঁখারীবাজারে আসে। এদিকে তুহুকে অন্য একজন ছেলেও পছন্দ করতো। এই বিষয় নিয়ে ভিকটিম রওনক এবং ওই ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হতো। তুহুর প্রেমিক রওনকের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ওই ছেলে জনবহুল পরিবেশ হিসেবে হোলি উৎসবকে বেছে নেয়। ওই ছেলে মাইশাকে ব্যবহার করে ঘটনার দিন রওনককে হোলি উৎসবে আসতে বাধ্য করে। এরপর তারা পাশের গলিতে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাস্থলে ২৫ থেকে ৩০ জনের উপস্থিতি দেখা যায়। তাদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন সরাসরি রনোর ওপর হামলা চালায়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে কিলিং মিশন শেষ করে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে খুনিরা।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, ত্রিভূজ প্রেম নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে সাবেক প্রেমিকা মাইশা আলমের বন্ধুরা রনোকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ বেলা ১২টার দিকে পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে কলেজছাত্র মো: রওনক হোসেন রনোকে খুন করা হয়। তিনি কামরাঙ্গীরচর রনি মার্কেট এলাকার মো: শহিদ মিয়ার ছেলে। আজিমপুর নিউ পল্টন লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন রওনক।