203852

অপারেশন টেবিলে নেইমার; বিশ্বকাপেও অনিশ্চিত!

শেষ পর্যন্ত অপারেশন টেবিলে যেতেই হচ্ছে পিএসজির ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমারকে। গত রবিবার ফরাসি লিগে মার্সেইয়ের বিপক্ষে চোট পাওয়ার পর এই দুর্ভোগ নেমে এসেছে তার জীবনে। শুধু নেইমার নন, তার জাতীয় দল ব্রাজিল এবং ক্লাব পিএসজিও মহাসংকটে পড়ে গেছে। রিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফিরতি লেগ তো খেলতেই পারবেন না, রাশিয়া বিশ্বকাপে নেইমারের খেলা নিয়েও শংকার সৃষ্টি হয়েছে!

গতকাল বৃহস্পতিবার অপারেশন করাতে প্যারিস থেকে নিজ দেশ ব্রাজিলে পৌঁছেছেন নেইমার। ব্রাজিল তারকার ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমশ ঘন হচ্ছে আশঙ্কার কালো মেঘ। পেয়েছিলেন নেইমার। যদিও ম্যাচের পর পিএসজি তারকা ম্যানেজার উনাই এমেরি দাবি করেছিলেন, প্রাথমিক পরীক্ষার পরে জানা গিয়েছে নেইমারের চোট গুরুতর নয়। গোড়ালির লিগামেন্টে আঘাত লেগেছে দলের সব চেয়ে দামি তারকার। কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই নাটকীয় ভাবে বদলে যায় ছবিটা।

লিগামেন্টে চোটের সঙ্গে পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলের হার (মেটাটারসাল) ভেঙেছে নেইমারের। অস্ত্রোপচার না করিয়ে সুস্থ হওয়া কঠিন। সেক্ষেত্রে অন্তত দুই মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে ব্রাজিল তারকাকে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৬ মার্চ তার খেলার কোনো সম্ভাবনাই নেই। সংশয় বাড়ছে বিশ্বকাপে তার খেলা নিয়েও।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল অভিযান শুরু করছে ১৭ জুন, সুইৎজারল্যান্ডের বিপক্ষে। ব্রাজিল জাতীয় দলের শল্যচিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেছেন, ‘নেইমারের পায়ের ৫ নম্বর মেটাটারসাল ভেঙে গেছে। শনিবার সকালে ওর অস্ত্রোপচার হতে পারে। নেইমার সুস্থ হয়ে কবে মাঠে ফিরবে তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে দুই থেকে আড়াই মাস লাগতে পারে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘নেইমার খুবই হতাশ। কিন্তু অস্ত্রোপচার করা ছাড়া উপায় নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুত নেইমারকে মাঠে ফিরিয়ে আনা।’

রদ্রিগোকে নিয়ে বুধবার রাতেই প্যারিস ছেড়ে ব্রাজিলের বেলো হরাইজন্তে উড়ে যান নেইমারের বাবা নেইমার সিনিয়র। ব্রাজিল সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেখানকার এক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা নেইমারের। পিএসজি তারকার বাবা বলেছেন, ‘অস্ত্রোপচারের পরে অন্তত ৬ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকবে নেইমার।’

নেইমারের ব্রাজিলে প্রত্যাবর্তনের দৃশ্যটা খুব সুখকর ছিল না। হুইল চেয়ারে বসিয়ে রিও ডি জেনিরো বিমানবন্দর থেকে বের করা হয় তাকে। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ম্লান মুখে একবার হাত নাড়েন এই মহাতারকা।তার মতোই চোট পেয়েছিলেন ব্রাজিলের গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি তারকার মাঠে ফিরতে সময় লেগেছিল দুই মাস। আবার ডেভিড বেকহ্যাম এবং ওয়েন রুনির সুস্থ হতে লেগেছিল প্রায় ৬ মাস। এই কারণেই নেইমারকে নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে ব্রাজিল শিবিরে।

ad

পাঠকের মতামত