202767

মৃত্যুর আগে টানা ১০ ঘণ্টা ছবি আঁকছিলেন শ্রীদেবী, কী ছিল সেই ছবিতে

তদন্তে উঠে এল নতুন সত্য। একা একা দুবাইয়ের হোটেলের রুমে ছবি আঁকছিলেন শ্রীদেবী। কেন এতটা তাড়া ছিল ছবি শেষ করার, জেনে নিন

মনে ছিল এইটুকু আশা।

তাঁর আঁকা ছবি আবার উঠবে নিলামে। উপার্জিত অর্থ তিনি দান করবেন কোনও জনকল্যাণমূলক কাজে।

এই বিষয়ে অন্যান্য খবর
নৈশভোজের নিমন্ত্রণ বদলে গেল মৃত্যুতে, ‘শ্রী’হীন হয়ে গেল বনির জীবন
শ্রীদেবীর মৃত্যুতে ঘুচল দূরত্ব! বোনের পাশে দাঁড়াতে এলেন দাদা অর্জুন
ছোট থেকেই। শ্যুটিং যখন থাকত না, তখন আঁকাআঁকি করেই সময় কাটাতেন শ্রীদেবী। ছবি আঁকা আর রকমারি রান্না করা, এই দু’টোই ছিল তাঁর হবি। নিজের আঁকা ছবির প্রদর্শনীও করেছেন স্বামী বনি কপূরের উদ্যোগে।

দুবাইয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁর ছবির নিলাম। যে দু’টো দিন বনি কপূর মুম্বইয়ে ফিরে এসেছিলেন, সেই দুই দিন ধরে রং-তুলিতেই মগ্ন ছিলেন শ্রীদেবী। আঁকছিলেন দেওর অনিল কপূরের বড় কন্যা সোনমের ছবি। ‘সাওয়ারিয়াঁ’ ছবিতে সোনমের আকর্ষণীয় লুক অন্য মাত্রা পেয়েছিল তাঁর তুলিতে।

তিনি আরও আঁকছিলেন মাইকেল জ্যাকসনের ছবি। তাঁর অন্যতম প্রিয় আইকন তিনি। সোনম কপূর ও মাইকেল জ্যাকসনের ছবির বেস প্রাইস ধার্য হয়েছিল যথাক্রমে ১০ লক্ষ ও ৮ লক্ষ টাকা!

যে-ভাবেই হোক, দ্রুত শেষ করতে চেয়েছিলেন ছবি আঁকা।

এই মগ্নতাই কি তবে ভুলিয়ে দিয়েছিল নাওয়া-খাওয়া? হোটেলের রুমে এই একাকিত্ব, এই আত্মমগ্নতাই কি তবে শ্রান্তিতে ভরিয়ে দিয়েছিল শ্রীদেবীর হৃদয়। ক্লান্ত হৃদয় একসময়ে বন্ধ করেছিল ধুকপুকুনি?

সত্য যা-ই হোক, চরম সত্যের চেয়ে বড় তো নয়!

চরম সত্য তো এটাই যে, হিম্মতওয়ালি ‘হাওয়া-হাওয়াই’ চিরঘুমে শায়িত। মরদেহের অপেক্ষায় গোটা দেশ।

ad

পাঠকের মতামত