202700

বাথটবে পড়ে ছিল শ্রীদেবীর নিথর দেহ

নৈশভোজের অপেক্ষা করছিলেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেত্রী শ্রীদেবী কাপুর। তখন তিনি হোটেলের ঘরে। ফ্রেশ হতে গিয়ে বাথরুমেই ঢুকে আর ফেরেননি কিংবদন্তি এ অভিনেত্রী। হঠাৎই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন অনেক দূরে।

ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যা। দুবাইয়ে একটি পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফ্রেশ হতে আসেন। কিছুক্ষণ পর স্বামী বনি কাপুরও আসেন। স্বামীর কথায় সায় দিয়ে শ্রীদেবী গিয়েছিলেন বাথরুমে, ফ্রেশ হতে। অনেকটা সময় পার হলেও শ্রীদেবী বেরোচ্ছেন না দেখে উদ্বিগ্ন হন বনি। বেশ কয়েক বার দরজায় ধাক্কা দেন তিনি। তাতেও সাড়া না পেয়ে তিনি দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। অচেতন শ্রীদেবীর দেহ তখন পানিভর্তি বাথটবে পড়ে ছিল। পুলিশ ও বন্ধুদের ডেকে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অভিনেত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। দুবাইয়ের সংবাদপত্র খলিজ টাইমস এর বরাতে এমনটাই জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

গণমাধ্যমের খবর, আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে গত সপ্তাহে দুবাইতে ছিল কাপুর পরিবার। খলিজ টাইমস জানায়, মৃত্যুর আগে দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ারের হোটেল রুমে একাই ছিলেন শ্রীদেবী।

তাদের দাবি, বিয়ে মিটে যাওয়ার পর বনি কাপুর ছোট মেয়ে খুশিকে নিয়ে মুম্বাই ফিরে এসেছিলেন। থেকে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। কিন্তু, শনিবার সন্ধ্যাবেলা স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিতে ফের দুবাই উড়ে যান বনি। শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ারে পৌঁছে স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। তারপর মিনিট ১৫ দু’জনে চুটিয়ে আড্ডাও দেন।

এরপরেই স্ত্রীকে ডিনারের প্রস্তাব দেন বনি। সেই মতো শ্রীদেবী ফ্রেশ হতে বাথরুমে ঢোকেন। সেখানেই পাওয়া যায় শ্রীদেবীর নিথর দেহ।

সোমবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রীদেবীর মৃদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু, ফরেনসিক বিভাগের করা কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। সেই সমস্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তার দেহ মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মিলবে। কারণ, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তার ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা যাবে না।

এদিকে অভিনেত্রীর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর সকাল থেকে মুম্বাইয়ের লোখান্ডওয়ালায় শ্রীদেবীর বাড়ির সামনে অনুরাগীদের ভিড় জমে। শ্রীদেবীর বাড়ির সামনে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

ad

পাঠকের মতামত