202645

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর এই নজর কাড়া প্রতিভা দেখে আপনিও হতবাক হবেন (ভিডিও)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর এই নজর কাড়া প্রতিভা দেখে আপনিও হতবাক হবেন (ভিডিও)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর এই নজর কাড়া প্রতিভা দেখে আপনিও হতবাক হবেন (ভিডিও)

অন্যরা যা পড়ছেন…

নায়িকাদের অসম প্রেম

বিনোদন.কম : প্রেমের অলিখিত নিয়ম হচ্ছে মেয়ের বয়স ছেলের থেকে কম হতে হবে! আর যদি উল্টো হয় তখনি পাঁকে ঝামেলা! শুরু হয় আলোচনা। কিন্তু বয়সের ব্যবধানকে পরোয়া করেন না তারকারা। নায়িকার বয়স নায়কের চেয়ে বেশি হলে বরং ছবি হয় হিট! এমন কিছু তারকা নিয়ে আজকের আয়োজন-

শাবনূর-শাকিব
অসম জুটির মধ্যে সবচেয়ে সফল কি শাবনূর-শাকিব জুটি? ‘কঠিন প্রেম’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘গোলাম’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘বলবো কথা বাসর ঘরে’র মতো হিট ছবি ছাড়াও আরো কিছু আলোচিত ছবি রয়েছে শাবনূর-শাকিবের ঝুলিতে। ১৯৯৩ সালে এহতেশাম পরিচালিম ‘চাঁদনী রাতে’ ছবিতে অভিষেক হয় শাবনূরের। আর শাকিব খান প্রথম অভিনয় করেন ১৯৯৯ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ছবিতে। ফেরদৌস-রিয়াজ-শাকিলসহ অনেকেই শাবনূরের জুনিয়র ছিলেন। কিন্তু বয়সের ব্যবধান বেশি ছিল শাকিবের সঙ্গেই। যদিও সেই ব্যবধানকে চোখে পড়ার মতো ব্যবধান বলা যাবে না। আর তাই বয়সের পার্থ্যক্যকে ঠুনকো প্রমাণ করে একের পর এক সাড়া জাগানো ছবিতে কাজ করেছেন শাবনূর-শাকিব জুটি।

অপু-বাপ্পি
অপু বিশ্বাস সিনেমায় আসেন ২০০৬ সালে এফ আই মানিক পরিচালিত ‘চাচ্চু’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শাকিবের বাইরে হাতেগোণা কয়েকজন নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেছেন অপু। সম্প্রতি শাকিবের সঙ্গে তার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হলে অপু জুটি বাঁধলেন বাপ্পি চৌধুরীর সঙ্গে। বাপ্পি ক্যারিয়ারের বিচারে অপুর অনেক জুনিয়র। ২০১২ সালে শাহিন সুমন পরিচালিত ‘ভালোবাসার রং’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাপ্পি সিনেমায় পা রাখেন। ক্যারিয়ারের বয়সের ব্যবধান সত্তে¡ও অপু-বাপ্পি বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘কাঙাল’ ছবিতে জুটিবদ্ধ হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ‘কানাগলি’ ছবিতেও তাদের অভিনয়ের কথা রয়েছে। তবে দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদে’ তারা অভিনয় করছেন এটা অনেকটাই চূড়ান্ত।

অপু-সাইমন
বাপ্পির মতো সাইমনও ২০১২ সালে সিনেমায় আসেন। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘জ্বী হুজুর’ ছবিতে অভিষেক ঘটে সাইমনের। অতি সম্প্রতি অপু যুক্ত হলেন তার নায়িকা তালিকায়। রফিক শিকদার পরিচালিত ‘ওপারে চন্দ্রাবতী’ ছবিতে প্রথমে নায়িকা হওয়ার কথা ছিল পরীমণির। শেষ পর্যন্ত পরী সরে যাওয়ায় অপু চলে আসেন। গত ১৪ ফেব্রæয়ারি এফডিসিতে মহরত হয়ে গেল ‘ওপারে চন্দ্রাবতী’র।

ঋতুপর্ণা-শুভ
কলকাতার দাপুটে অভিনেতী ঋতুপর্ণা টালিগঞ্জে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৯৫ সালে ‘শ্বেত পাথরের থালা’ ছবিতে। বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় শুরু ১৯৯৭ সালে ‘স্বামী কেন আসামী’ ছবির মধ্য দিয়ে। দুই দশকের বেশি সময়ের পরিপক্ক অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার বিপরীতে কিনা এপারের আরিফিন শুভ! যার সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে ২০১০ সালে খিজির হায়াত খান পরিচালিত ‘জাগো’ ছবির মধ্য দিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, গল্পের প্রয়োজনেই পুরোপুরি অসম জুটি ঋতুপর্ণা-শুভর জন্ম। অভিনেতা-পরিচালক আলমগীর অনেকদিন পর নির্দেশনায় ফিরে ঋতু-শুভকে নিয়ে তৈরি করছেন ‘একটি সিনেমার গল্প’। এই ছবির আলোচনা যখন জমজমাট তখনই কলকাতার একটি স্থানীয় ছবি ‘আহারে’-তে ঋতুপর্ণা-শুভর জুটিবদ্ধ খবর পাওয়া যায়। কলকাতায় যার প্রেসমিট হয়ে গেল সম্প্রতি।

পূর্ণিমা-ইমন
নায়কের প্রকৃত বয়স কিংবা নায়িকার প্রকৃত বয়স নতুন জুটিতে বাধা হলেও ক্যারিয়ারের বয়স কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি কখনোই। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মধ্য দিয়ে সিনেমায় আসেন পূর্ণিমা। তিনি জুনিয়র নায়ক ইমনকে পাশে পান ২০০৯ সালে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’ ছবিতে।

পপি-নীরব
নীরবের প্রথম ছবি শাহিন সুমন পরিচালিত ‘মন যেখানে হদয় সেখানে’ মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। ওই ছবিতে নীরবের সিনিয়র অপু ছিলেন নায়িকা। সেটা মেনে নেয়া গেলেও পপি-নীরব জুটি যেন একটা ধাক্কার মতোই লাগে দর্শকদের বুকে। জাকির খান পরিচালিত ‘চার অক্ষরের ভালোবাসা’ ছবিতে নীরব জুটি বাঁধেন পপির বিপরীতে। যদিও ছবিতে মূলত ফেরদৌসই ছিলেন পপির নায়ক।

কেয়া-সাইমন
২০০১ সালে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কঠিন বাস্তব‘ ছবিতে অভিষেক ঘটে কেয়ার। তার বিপরীতে সাইমনের জুটিবদ্ধ হওয়া যেন একটু বাড়াবাড়িই! ১১ বছরের ব্যবধান নায়ক ও নায়িকার। কিন্তু এই বয়সের পার্থক্যকে পাত্তা না দিয়ে কেয়া ও সাইমন ২০১৫ সালে সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘বø্যাকমানি’ ছবিতে জুটিবদ্ধ হন। ছবিটি অবশ্য তেমন চলেনি।

পপি-ইমন
সম্প্রতি ইমন ও পপি একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সাদেক সিদ্দিক পরিচালিত ‘সাহসী যোদ্ধা’ নামের এ ছবিতে অবশ্য ইমনের বিপরীতে পপি অভিনয় করছেন না। পপি অভিনয় করছেন আমিন খানের বিপরীতে। পপি-ইমন ‘সাহসী যোদ্ধা’য় সহশিল্পী মাত্র। পপি-ইমন জুটিবদ্ধ হয়েছিলেন ২০১১ সালে জি সরকার পরিচালিত ‘গার্মেন্টস কন্যা’ ছবিতে। ১৯৯৭ সালে পপি প্রথম অভিনয় করেন কোন সিনেমায়। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ ছবিতে পপির অভিষেক ছিল জাকজমকপূর্ণ। ইমন নায়ক হয়ে সিনেমায় আসেন ২০০৮ সালে ইস্পাহানি আরিফ জাহান পরিচালিত ‘এক বুক ভালোবাসা’ ছবিতে। ১১ বছরের ব্যবধান এই দুই শিল্পীর জুটিবদ্ধ হওয়ার পথে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি।

ad

পাঠকের মতামত