202556

শ্রীদেবী ছিলেন বাংলাদেশের দক্ষিণের এক জেলার ‘পুত্রবধূ’!

৫৪ বছর বয়সে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দুবাইয়ে মৃত্যুবরণ করেন সৌন্দর্য্যদীপ্ত এই অভিনেত্রী। হাজারো ভক্তের হৃদয়ে শোকের বোবা কান্না জাগিয়ে পরপারে চলে গেলেন এক সময়কার হার্টথ্রব বলিউডের এই হিরোইন। কিছুদিন আগেও তিনি অভিনয় করেছেন সিরিয়াল ও বিজ্ঞাপনে, নেচেছেন ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চে, জিতেছেন অনেক পুরস্কার।

১৯৯৬ সালে চলচ্চিত্র প্রযোজক বনি কাপুরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও চেয়েছিলেন বাঙালি হিরো মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রী হিসেবেই বাঁচবেন, মরবেন। সে সময় তার এবং ‘বিবাহিত’ মিঠুনের প্রেম আর গোপনে বিয়ের কাহিনী খবরের শিরোনামেও উঠে আসে।

বলিউড সাম্রাজ্যে অভিনয় জগতে পা রাখার পর শ্রীদেবী যখন গ্ল্যামার, নাচ ও অভিনয় গুণ দিয়ে পর্দা কাঁপাচ্ছিলেন, ‘জাগ উঠা ইনসান’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে প্রেমে পড়েন মিঠুন চক্রবর্তীর । মিঠুন চক্রবর্তী কিন্তু তখন যোগিতা বালির সঙ্গে বিবাহিত। শ্রীদেবী-মিঠুনের প্রেম এতটাই গভীর ছিল যে, ১৯৮৫ এ মন্দিরে গিয়ে চুপিচুপি বিয়েও সেরে ফেলেন দুজনে।

মিঠুন এর আগে তার স্ত্রী যোগিতার থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন। কিন্তু মিঠুন-শ্রীদেবীর সম্পর্কের কথা জানার পর যোগিতা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। যোগিতা তখন একটা সাক্ষাৎকারে এ-ও বলেন যে, ‘আমি শ্রীদেবীকে মিঠুনের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতেও রাজি আছি।’

শ্রী ও মিঠুন একে অপরকে গভীরভাবে ভালোবাসলেও হঠাৎ করেই একদিন মিঠুনের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। শ্রীদেবী বুঝতে পারেন, মিঠুন কোনওদিনই যোগিতা বালিকে ছাড়তে পারবেন না। তাই নিজেই মিঠুনের জীবন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে বনির সাথে আনুষ্ঠানিক বিয়ের সাত মাস আগেই তিনি গর্ভবতী হয়েছিলেন বলে জানা যায়। হতে পারে এটাও ছিল মিঠুন-শ্রীদেবীর বিচ্ছেদের কারণ।

তবে কারণ যাই হোক, ১৯৮৮-তেই বাঙালির বধূ হিসেবে মরার সাধ ত্যাগ করেছিলেন বলিউডের শ্রীদেবী।আর বিচ্ছেদ না হলে বাঙালির বধূ হতেন পর্দা কাঁপানো উপমহাদেশ বিখ্যাত শ্রীদেবী। সে গর্বের কিছু হলেও ভাগ পেতো বাংলাদেশ, বিশেষ করে বরিশালের মানুষ। কারণ ‘মিঠুন’ বরিশালেরই ছেলে।

ad

পাঠকের মতামত