201691

‘শাকিব খানের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্ভব নয়…’

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে আরিফিন শুভ ও তানহা তাসনিয়া জুটির প্রথম ছবি ‘ভালো থেকো’। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এ ছবিটি কতটা দর্শক টানতে পেরেছে? এর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয়ইবা কীভাবে নিয়েছে দর্শক? দর্শক, সমালোচকের অভিমতের বাইরে গিয়ে এবার একটু ভিন্নভাবে ছবিটির মূল্যায়ন করতে বলা হয় এ ছবির অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী তানহা তাসনিয়াকে। অবশ্য গল্প করতেও কম যান না তাসনিয়া। একই সঙ্গে আগের মুক্তিপ্রাপ্ত দুই ছবির নায়ক নিরব ও শাকিব খানকে নিয়েও বাঁধলেন দারুণসব গল্প। চলুন না, প্রশ্ন-উত্তরের মধ্য দিয়ে জেনে আসা যাক তানহার সে গল্পের বাকিটা—

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে আপনার অভিনীত ছবি ‘ভালো থেকো’। নিজের ছবি, অভিনয় নিয়ে নিজেই মূল্যায়ন করুন—
মূল্যায়ন তো করবই। তার আগে বলতে চাই, গত দুই বছর আমার সব ভালো লাগার জায়গাজুড়ে ছিল ‘ভালো থেকো’ ছবিটি। প্রিপ্রডাকশন থেকে শুরু করে একেবারে মুক্তির আগ পর্যন্ত এ ছবি নিয়েই দিন-রাত পার করেছি। এরপর মুক্তির সময় এ চিন্তা গভীরভাবে ভর করেছে যে, আমি এত দিন পরীক্ষা দিয়েছি, এখন ফল বের হবে। যাহোক, এবার আসা যাক আসল কথায়। নিজের অভিনীত ছবি মূল্যায়ন করাটা সত্যিই ভীষণ ভয় ও চ্যালেঞ্জের। সিনেপ্লেক্সের বাইরে এই প্রথমবারের মতো আমি সনি সিনেমা হলে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম। যতক্ষণ ছিলাম, তাতে দেখেছি, আশপাশের দর্শক মোটামুটি সাড়া দিয়েছে। এক কথায় সিনেমা দেখার সত্যিকারের যে অনুভূতি তা তখন অনুভব করেছি। তবে যে সাড়া পাওয়ার কথা ছিল তা পাইনি। এর মধ্যে অন্যতম কারণ— তখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ ছিল। ফলে যে পরিমাণ ব্যবসা করার কথা ছিল, তা করতে পারেনি ছবিটি। তবে নবাগত নায়িকা হিসেবে বলতে চাই, যে দেশে ১৬-১৭ কোটি মানুষের বাস, সে দেশে সিনেমা চলে না, এটা মেনে নেয়া কষ্টকর যে আমাদের এখানে ছবি চলে না। আমাদের সমস্যা হলো আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে পারিনি। যদি আমাদের ছবিকে সমর্থন দেই, তাহলে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি ও আমরা শিল্পীরা রক্ষা পাই।

এরপরের ছবি নিয়ে যা ভাবছেন?
আমার চতুর্থ ছবি হতে যাচ্ছে জানবাজ। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করবে বাপ্পী। এরই মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। কিন্তু কবে নাগাদ শুটিং শুরু হবে তা জানি না। ছবিটি বানাবেন ওয়াজেদ আলী সুমন। এছাড়া আরো বেশকিছু ছবির কথাবার্তা চলছে। দু-এক মাসের মধ্যে কনফার্ম করে ফেলব।

এটা কি বলা যেতে পারে যে, ‘ভালো থেকো’র প্রতিক্রিয়াই আপনার পরের ছবিগুলোর ওপর ভূমিকা রাখবে?
সে প্রভাব তো থাকবেই। তবে এসব নিয়ে আমি ভাবি না। কারণ ছবি করতে গেলে সফলতা, ব্যর্থতা থাকবেই। এটা জীবনেরই একটা অংশ। তবে এ ছবি করতে গিয়ে যে শিক্ষা অর্জন করেছি, তাকে অভিজ্ঞতা হিসেবে সামনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।

আপনার ক্যারিয়ারের নায়কদের নিয়ে বলুন—
‘ভোলা তো যায় না’ তারে ছিল আমার প্রথম ছবি। এতে আমি অভিনয় করেছিলাম নিরবের সঙ্গে। তিনি আমার ভালো বন্ধু। শুধু তা-ই নয়, যথারীতি পরামর্শকের ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। কারণ তখন আমি ক্যামেরার কিছুই বুঝতাম না। দ্বিতীয় ছবি ধূমকেতু করলাম শাকিব খানের বিপরীতে। তবে শাকিব খানের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা সম্ভব নয়। কারণ তিনি সুপারস্টার। তার সঙ্গে কাজ করাটাই আমার মতো নবাগতর জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। অবশ্য তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। তিনিও ভীষণ সাহায্য করেছেন। আর ভালো ছবিতে তো আরিফিন শুভর সঙ্গে কাজ করলাম। এক কথায় বলতে পারি, শুভ আমার ভীষণ প্রিয়। তার ভেতর অন্তত খারাপ কোনো মনোভাব নেই।

কখনো এটা মনে হয়েছে যে, অধিক পরিচিত নায়কদের সঙ্গে কাজ করার কারণে আলোচনা থেকে একটু আড়ালে চলে যান?
হ্যাঁ, কথা সত্য। কিন্তু এতে দোষের কিছু নেই। এ আড়ালটা একদিন থাকবে না। কারণ আজ যারা সুপারস্টার, তারাও কিন্তু একদিন আড়ালে ছিল। হয়তো একদিন আমরাও অনেক পরিচিত হব। নতুনরা কারো না কারো হাত ধরে এগোবে, এটাই তো নিয়ম।

আপনি তো চলচ্চিত্রে বলতে গেলে নতুন এসেছেন। তো পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় পারিশ্রমিক কি ঠিকঠাক পান?
সত্যি বলতে কি, আমাদের দেশে হিরোইনদের পারিশ্রমিকটা কমই দেয়া হয়, এটা আমার কষ্টের একটা জায়গা। অবশ্য এটা সব দেশের ইন্ডাস্ট্রিতেই ঘটে। আমার মনে হয়, পুরুষ অভিনেতাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নারী অভিনেতাদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ হওয়া উচিত।

ad

পাঠকের মতামত