201381

‘হিন্দি গান গাইনি বলে স্টেজ থেকে নামিয়ে দিয়েছে’

বিনোদন ডেস্ক।।

কণ্ঠশিল্পী সোমনূর মনির কোনাল। সংগীত শিল্পী হলেও নাচের প্রতিও আগ্রহ রয়েছে তার। ২০০৯ সালে একটি ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় সেরা কণ্ঠ নির্বাচিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। নাচ ও গানের পাশাপাশি উপস্থাপনা, অভিনয় ও মডেলিংও করেন কোনাল। গানের অ্যালবামের পাশাপাশি প্লেব্যাকও করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষা ও ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট করেছেন তিনি। এতে কোনাল জানান, হিন্দি গান গাওয়ার অনুরোধ করলেও তিনি গান না। আর এ কারণে তাকে স্টেজ থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে প্রিয়.কম-কে জানান এই সংগীতশিল্পী।

ফেসবুক পোস্টে কোনাল লিখেন, ‘মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।’ এই গৌরবময় ভাষা নিয়ে অনেকের অনেক ভাবনা থাকতে পারে, আমার গর্ব এই যে, আমার বাংলায় কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার পরও আমি শুদ্ধ সঠিক বাংলায় কথা বলি, অন্তত চেষ্ঠা করি। লাখ-কোটি দামি অনুষ্ঠানের লাখ-কোটি দামি অতিথির অনুরোধ আবদারেও আমি হিন্দি গান গাই না। শুধু বাংলা গেয়ে নাচি। ভাষা আমার গর্ব, ভাষা আমার অস্তিত্ব। বাংলায় গান গাই, বাংলাকে ভালোবাসি। বিনম্র শ্রদ্ধা, বীর শহিদদের প্রতি।’

আর এ স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে প্রিয়.কম যোগাযোগ করে কোনালের সঙ্গে। আড়াই বছর আগে সোনারগাঁয়ের একটি স্টেজে পারফর্ম করতে গিয়েছিলেন তিনি। সে দিনের ফিরিস্তি টেনে কোনাল বলেন, “অনুরোধ আসার পরও হিন্দি গান গাইনি বলে স্টেজ থেকে নামিয়ে দিয়েছে। অনেক কথা শুনতে হয়েছে। এমনও বলা হয়েছে- ‘এ শিল্পী কে আর আনবেন না, এ শিল্পী তো গান দিয়ে মাতাতে পারে না’।”

“আমি শুরুর দিকে বিষয়গুলো নিতে পারতাম না। তখন খুব কর্কশভাবে প্রতিবাদ করতাম। বলতাম, ‘আপনারা বাঙালি হয়ে বাংলা গান শুনতে চান না! বাংলায় তো অনেক ভালো ভালো ফোক গান আছে’- এ সব বলতাম। কিন্তু এখন আর কথা বলি না। শুধু বলি, আজ কেবল বাংলা গানের সঙ্গেই নাচি”, যোগ করেন এই কণ্ঠশিল্পী।

কোনাল আরও বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, আমরা এন্টারটেইনার, ঠিক আছে। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে এন্টারটেইনার হওয়া ভালো। যে ভাষার জন্য পৃথিবীতে আর কেউ জীবন দেয়নি, কেবল আমরা দিয়েছি, সেই ভাষা নিয়ে আমার একটু অহংকার, একটু অহমিকা থাকতেই পারে। অনেকে আমাকে বলে যে- মিউজিকের তো কোনো ভাষা নেই। হ্যাঁ, আমি ইংরেজি গানও গাই, আমি জর্জ হেরিসনের বাংলাদেশ নামের গানটি গাই। কেননা, সেখানে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের চিত্রটি উঠে আসে। কিন্তু হিন্দি গান দিয়ে মানুষকে নাচানো- এটা আমি সমর্থন করি না।’ উৎস: প্রিয়।

ad

পাঠকের মতামত