
চমৎকার: নীল পরীদের ধামাকা নাচে মাতোয়ারা অনলাইন (ভিডিও)
নীল পরীদের ধামাকা নাচে মাতোয়ারা অনলাইন (ভিডিও)
নীল পরীদের ধামাকা নাচে মাতোয়ারা অনলাইন (ভিডিও)
অন্যরা যা পড়ছেন…
ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা
বিশ্বের সবথেকে বড় অনলাইন প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক হল লিঙ্কডিন৷ বর্তমানে সেই নেটওয়ার্কেই ব্যবহার করে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা৷ কোন সন্ধানী মানুষ লিঙ্কডিন খুলে খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন ‘এসকর্ট সার্ভিস’, ‘অ্যাডাল্ট এন্টারটেইনমেন্ট’ এবং ‘ম্যাসাজ উইথ হ্যাপি এন্ডিং’-এর মত একাধিক পরিষেবা প্রদানকারীদের ভারতীয় প্রোফাইল৷ বিশেষ করে বেঙ্গালুরু, মুম্বই, নয়াদিল্লি এবং কলকাতার মত শহরগুলিতে এই ধরণের প্রোফাইল সংখ্যা একটু বেশিই বলা চলে৷
উদাহরণ স্বরূপ লিঙ্কডিনের একটি প্রোফাইলের বিবরণের কথা বলা যায়৷ সেই বিবরণ অনুযায়ী ওই মহিলা কল গার্ল৷ তিনি ইন্দিরানগর,জেপি নগর, বনস্বাদি, ডোমলুর এবং কাম্মানাহাল্লির মত জায়গাগুলিতে বিভিন্ন ধরনের ম্যাসাজ পরিষেবা দিয়ে থাকেন৷ তার প্রোফাইলের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে একটি লিঙ্ক৷ যেটি ক্লিক করলেই খুলে যাবে একটি ওয়েবসাইট৷ যেখানে নিবন্ধিত বিভিন্ন পরিষেবার মধ্যে রয়েছে সম্পূর্ণ দেহ ম্যাসাজ, হ্যাপি এন্ডিং মাসাজ-এর মত পরিষবা৷
আবার বেঙ্গালুরুর একটি স্পা-এর লিঙ্কডিন প্রোফাইল শুধু বিভিন্ন ধরণের ম্যাসাজের তালিকাতেই থেমে নেই৷ ম্যাসাজ পরিষেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন ধরণও উল্লেখ করা আছে তাদের প্রোফাইলে৷ যেমন ‘প্রিটি কেরালা গার্ল’ বা ‘কিউট সাউথ ইন্ডিয়ান গার্লস’ ৷ কলকাতার একটি প্রোফাইলে নিজেকে ‘ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডাল্ট এন্টারটেইনার’ হিসাবে বিবরণ দিয়েছেন এক মহিলা৷
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে এই ধরণের পরিষেবা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল লিঙ্কডিনের পক্ষ থেকে৷ কিন্তু তারপরও থামেনি এই ধরণের ব্যবসা৷ বরং দিনের পর দিন আরও বেশি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জাঁকিয়ে বসছে এই ধরণের ব্যবসা৷ একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অধিকাংশ দেহ ব্যবসা বর্তমানে অনলাইনে চলে এসেছে৷ পরিচয় গোপন করার সুবিধা দেয় সোশ্যাল মিডিয়া৷ তাই ঝুঁকি কমানোর জন্য এখন হোয়াটস অ্যাপের মত সোশ্যাল মিডিয়াকেও ব্যবহার করেন এই ধরণের ব্যবসার পরিচালকরা৷
কিন্তু প্রফেশনাল নেটওয়ার্কে ব্যবহার করে নিষিদ্ধ ব্যবসার প্রচার সম্পর্কে কী বলছেন লিঙ্কডিন কর্তৃপক্ষ? তারা জানিয়েছেন, এই ধরনের প্রোফাইলগুলি ব্যবহারকারী চুক্তির বিরোধী এবং তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ এবিষয়ে লিঙ্কডিন ইন্ডিয়া কমিউনিকেশনের প্রধান দীপা সাপাতনেকার বলেন, ‘‘মানুষ লিঙ্কডিনের সদস্য হন নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে এবং ভালো প্রফেশনাল হতে৷ আমাদের ব্যবহারকারী চুক্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, দেহ প্রস্টিটিউশন পরিষেবা অথবা এসকর্ট পরিষেবার প্রচার করে এমন প্রোফাইল অথবা কন্টেন্ট নিষিদ্ধ৷’’ এই নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
কেন্দ্রীয় অপরাধ দমন শাখার একজন সিনিয়র পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এই ধরনের প্রোফাইলের উপস্থিতির কথা স্বীকার করেছেন৷ তিনি জানান, এই ধরণের প্রোফাইলগুলিকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি৷ তারা এই পোষ্টগুলির উপর নজর রাখছেন এবং প্রয়োজন অনুসারে দ্রুত পদক্ষেপও নেবেন৷