বাবুকে বিদায় দিতে সীমান্তে এলেন ‘বাহুবলী’র চাচা
বিনোদন ডেস্ক।।
ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যবসাসফল ছবি ’বাহুবলী’তে ’চাচা বিজ্জলাদেবা’ চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছিলেন এম নাসের। ভারতের মত বাংলাদেশেও তিনি সমান পরিচিত। এবার সেই গুণী অভিনেতা আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুকে বিদায় জানাতে ভারতের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্দা স্থলবন্দরে আসেন। বিদায় বেলায় শিগগিরই আবার দেখা হওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন দুজনে।
নাসের প্রসঙ্গে বাবু জানান, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভারতের দক্ষিণের এই শক্তিমান অভিনেতা। বিদায় নেওয়ার আগে তারা সবাই মিলে চা পান করেছেন। লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন বাবু।
বাবুর সীমান্তের যাওয়ার কারণ ছিল \’সিতারা\’। ছবিটিতে এম নাসেরের সঙ্গে এবার অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জাহিদ হাসান, শাহেদ আলী সুজন। ধ্রুপদি লেখক আবুল বাশারের গল্প \’ভোরের প্রসূতি\’ অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ছবিটি। পরিচালক আশীষ রায়।
বাবু বলেন, এই ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে এম নাসেরের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। শুটিং শেষে বাবুর বিদায় উপলক্ষে গত রোববার রাতে এম নাসের এক পাটির আয়োজন করেন। এখানে সবার জন্য এম নাসের নিজেই কয়েকটি পদ রান্না করেছেন। সবাই মিলে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছেন। বাবুর অভিনয়ে মুগ্ধ তিনি। মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন রাইমা সেনও।
’সিতারা’ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাইমা সেন। তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান আর ফজলুর রহমান বাবু। ছবিতে বাবু সিতারার স্বামী। সীমান্তে চোরাচালান দলের সদস্য। একসময় স্ত্রীকে মহাজনের কাছে রেখে চলে যান। ছবিতে এই মহাজনের দ্বারা নানাভাবে নির্যাতিত হয় সিতারা। মূলত গল্পটি সিতারার সংগ্রাম নিয়ে। ছবিতে মহাজনের চরিত্রে অভিনয় করছেন এম নাসের। স্ত্রীর প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই দুই অভিনেতা এবারই প্রথম ভারতের ছবিতে অভিনয় করেছেন। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের পাশে তিস্তা নদীর চর এলাকা, মেখলিগঞ্জ বাজারে ছবিটির শুটিং হয়েছে।
