201225

‘তাদের নেওয়া হয় শুধু শরীর দেখানোর জন্য’

ইলিয়েনা ডি ক্রুজ বলিউড অভিনেত্রী যার ক্যারিয়ারের ৯০ শতাংশ ছবিই সুপারহিট, নয়তো ব্লকবাস্টার হিট হয়েছে। ২০০৬ সালে তেলেগু চলচ্চিত্র দেবাদাসু এ অভিনয়ের জন্য তিনি ২০০৬ সালের সেরা নবাগত মহিলা বিভাগে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। পোকিরি (২০০৬), কিক (২০০৮) এবং জুলায়ি (২০১২) চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি দেখা যায়।

২০০৬ সালে প্রথম তেলেগু ছবি দেভাদাসুতে অভিনয় করে এ পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন ইলিয়েনা। এরপর আরও ১৫টি তেলেগু, দুটি তামিল ও একটি কানাড়া ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা পুঁজি করে ক্যারিয়ারের প্রথম হিন্দি ছবি বরফিতে বাঙালি বধূ শ্রুতি ঘোষের চরিত্রে অভিনয় করেন ইলিয়েনা। জি সিনে অ্যাওয়ার্ড যৌথভাবে পেয়েছিলেন, কিন্তু স্ক্রিন, ফিল্ম ফেয়ার সবই একা পেয়েছেন ইলিয়েনা। ক্রুজ ২০০৫ সালেও ফিল্ম ফেয়ার থেকে শ্রেষ্ঠ নতুন অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন দক্ষিণী ছবির জন্য।

সম্প্রতি, তিনি দক্ষিণ ভারতের সিনেমা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ওই অঞ্চলের সিনেমায় নারীদের অভিনয়ের কোনো প্রশংসা করা হয় না। তাদের নেওয়া হয় শুধু শরীর দেখানোর জন্য।

‘বরফি’ ও ‘ম্যায় তেরা হিরো’ ছবির এই নায়িকা বলেন, আমি যখন দক্ষিণের ছবিতে কাজ করতে শুরু করি, এ বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না। জীবনের প্রথম শটটি দিতে গিয়ে আমি অস্বস্তিতে পড়েছিলাম। দৃশ্যটা ছিল এমন- শোওয়া অবস্থায় একটি শঙ্খকে ধীরে ধীরে আমার পেট ও বুকের কাছে তুলে আনতে হবে। এতে অবাক হয়ে পরিচালককে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এই দৃশ্যটা শ্যুট করা হচ্ছে কেন? পরিচালক জবাব দিয়েছিলেন, এটা করলে তোমাকে সুন্দর লাগবে। কারণ তোমার কোমর ও পেট খুব সুন্দর। সূত্র: জিনিউজ।

এমন অভিজ্ঞতার পর রীতিমতো অবসন্ন হয়ে পড়েন ইলিনা। তিনি বলেন, আমার কাজ অভিনয়, শরীর দেখানো নয়। অথচ আমাকে শুধু একটা শরীর হিসাবে বিচার করা হয়েছিল।

শরীর দেখানো নিয়ে শুচিবায়ুগ্রস্ত নন আবেদনময়ী এ অভিনেত্রী। তিনি বলেন, চিত্রনাট্যের খাতিরে শরীর দেখাতে রাজি আছি। কিন্তু যেভাবে অকারণে শরীর দেখাতে বাধ্য করা হয়, সেটার বিরোধী আমি।

দক্ষিণের ছবিতে নায়িকাদের নাভি দেখানোর যে প্রবণতা, সেটা নিয়েও মুখ খুলেছেন ইলিনা। বলেছেন, এটা কেন করা হয় জানি না। তবে এর প্রভাব খুব খারাপ।

ad

পাঠকের মতামত