199751

ফুলশয্যার রাতেই স্বামী বুঝেছিলেন বউ অন্তঃসত্ত্বা, অতঃপর………

ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিনেই নববধূর আসল চেহারা সামনে এল। কিছুদিন আগেই বিয়ে হয়েছিল দম্পতির। ফুলশয্যার রাতেই স্বামী বুঝেছিলেন বউ অন্তঃসত্ত্বা।

তার পরে স্ত্রীকে দমদমের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে তাঁর অনুমান সত্যি হয়। কিন্তু নতুন বউ সব অভিযোগ উড়িয়ে স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করে শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন। সঙ্গে নিয়ে যান বিয়েতে উপহার পাওয়া সমস্ত গয়না।

মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার যুবক শুভঙ্কর ঘোষের সঙ্গে গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় বীরভূমের নলহাটির এক তরুণীর। বউভাতের অনুষ্ঠান শেষে ফুলশয্যার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সময়েই বুঝতে পারেন স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। পরের দিন নতুন বউকে নিয়ে তিনি দমদমের একটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে যান। সেখানে পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর অনুমান সঠিক।

রিপোর্ট হাতে পেয়ে মৌসুমি পরেরদিন শ্বশুরবাড়ি থেকে সোনার গয়না এবং রিপোর্টটি নিয়ে চলে যান। বাপেরবাড়ি ফিরে তিনি রামপুরহাট থানায় বধূ নির্যাতনের মামলা করেন। এদিকে, বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ওই যুবক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছ থেকে রিপোর্টটির ডুপ্লিকেট কপি চায়। কিন্তু সেন্টার জানিয়ে দেয়, সেটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

তখন শুভঙ্কর ওয়েষ্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনে আবেদন জানান ওই সেন্টারের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার জন্য। সেখানে সুরাহা না মিললে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন। শুভঙ্করের আইনজীবী আশিস চৌধুরী বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে বলেন, শুভঙ্কর ঘোষ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে করানো মেডিকেল রিপোর্ট বেমালুম অস্বীকার করছে সেই ডায়াগনেস্টিক সেন্টারটি। উল্টে স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা বধূ নির্যাতনের মামলা করেছেন স্ত্রী।

তখন বিচারপতি মেডিকেল সেন্টারকে রিপোর্টের কপি দেওয়ার নির্দেশ দেন। বুধবার আদালতের নির্দেশে শুভঙ্কর ও তাঁর আইনজীবীর হাতে মেডিকেল সেন্টারের আইনজীবী বউয়ের রিপোর্ট তুলে দেন। রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, নববধূ অন্তঃসত্ত্বা।

শুভঙ্করের আফশোস, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে তাঁকে এমন একটা রিপোর্ট হাতে পেতে হল যাঁকে মনে মনে একদিন ভালোবেসেছিলেন। এখন জঙ্গিপুর আদালতে তাঁদের বিয়েটা অবৈধ দাবি করে শুভঙ্কর মামলা করেছেন। –এবেলা

ad

পাঠকের মতামত