197143

ফেসবুকের ১৪তম জন্মদিনে যা বললেন জাকারবার্গ

ফেইসবুক অথবা ফেসবুক বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে নিখরচায় সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।

মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তার কক্ষনিবাসী ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্‌স এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন।

ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আরো পরে এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাই স্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সারা বিশ্বে বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন ৩০০ মিলিয়ন কার্যকরী সদস্য।

প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘ ১৪ বছরের পথ চলা নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ।

জাকারবার্গ লিখেছেন- এটা হচ্ছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরি রুম থেকে আমরা কত দূরে এসেছি তা প্রতিফলিত করার ক্ষণ। পৃথিবীকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসতে আমাদের আর কত দূর যেতে হবে তা নিয়ে ভাবার সময়। পাশাপাশি আমাদের আরও ভাল করতে কী করা প্রয়োজন তা নিয়ে ভাবতে হবে।

মাঝে মাঝে আমাকে অনেকে জিজ্ঞেস করে থাকেন এ পথে হেঁটে আমি কী শিখেছি। ফেসবুক যখন শুরু করি তখন আমার বয়স ছিল ১৯। আমি তখন একটি কোম্পানি কিভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হয় বা গ্লোবাল ইন্টারনেট সার্ভিস সম্পর্কে কিছু্ই জানতাম না।

ওই বছরগুলোতে আমি অনেক ভুল করেছি। অনেকগুলো টেকনিক্যাল ভুল ও লোকসানের চুক্তি করেছি। আমি ভুল মানুষকে বিশ্বাসও করেছি। অনেক সময় প্রতিভাবানদের ভুল ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন্ড মিস করে অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ি। আমি একের পর এক এমন পণ্য উৎপাদন করে উন্মোচন করেছি। যেগুলো শুধু লোকসানের মুখই দেখেছে।

তবে আমরা যে ভুলগুলোকে এড়িয়ে টিকে আছি এমনটি নয়। বরং আমরা বিশ্বাস করি চ্যালেঞ্জ যত বড়ই হোক তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। আমরা জানি বার বার ব্যর্থ হব। কিন্তু ব্যর্থ হলেও চেষ্টা করে যাওয়াই উন্নতির একমাত্র পন্থা।

তবে আমরা এ পথ চলার এখনো উষালগ্নেই আছি এবং উন্নতির জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করছি। এই ১৪ বছরের পথ চলায় বন্ধু, পরিবার ও মানুষকে কাছাকাছি আনতে আমরা যতটুকুই করতে পেরেছি তার জন্য গর্ববোধ করছি। এটা সত্যিই মর্যাদার যে আপনাদের সঙ্গে এ পথ চলার সঙ্গী হতে পেরেছি।

ad

পাঠকের মতামত