১২ বছরের শিশু গৃহকর্মীর গায়ে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন
নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর শ্যামপুরে শিশু গৃহকর্মীর গায়ে গরম পালি ঢেলে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর পেয়ে বিক্রমপুর হাউজিংয়ের একটি বাড়ির ৬ তলার ফ্ল্যাট থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে কদমতলী থানা পুলিশ। ১২ বছর বয়সের নির্যাতিত গৃহকর্মীর নাম লাবনী।
অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী মারিয়া সুলতানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ও সি সিতে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুটির অভিযোগ, ওই বাসায় গত দুই বছর ধরে কাজ করে সে। কাজে যোগ দেয়ার পর থেকেই তার উপর নির্যাতন চালাতো মারিয়া। কিন্তু নিজের আপনজন না থাকায় সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করতো সে।
শিশুটি জানায়, তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবের লালকুটিতে। শিশুটির মা একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। বাবা নাছির আরেকটি বিয়ে করে গ্রামে বাস করেন। প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা বেতনে তাকে এক স্বজনের মাধ্যমে ওই বাসায় কাজে দেয়া হয়। কিন্তু মাস শেষ হতে না হতেই টাকা শিশুটির বাবা নিয়ে যান বলে অভিযোগ তার।
বুধবারের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে দিয়ে শিশু লাবনী বলে, ‘চুলায় ভাত রান্না করছিলাম। ভাত একটু বেশি হয়ে যাওয়ায় গরম ভাতের পাতিল আমার মাথায় ঢেলে দিয়েছে। এছাড়া পানি গরম করে হাতের উপর ফিক মেরেছে। এতে হাত ও গলা ঝলসে গেছে।’ শিশুটির গলায় নির্যাতনের দাগ দেখা গেছে।
জানা গেছে, বুধবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশুটিকে গরম পানি ঢেলে নির্যাতনকালে চিৎকারে ওই বাড়ির অন্য বাসিন্দারা ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
ওই বাড়ির বাসিন্দাদের অভিযোগ, শিশুটিকে নির্যাতনের বিষয়টি গৃহকর্তা তাওহিদকে অনেক বার জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। এছাড়া শিশুটিকে মারধর করার সময় প্রতিবেশীরা বাধা দিলে উল্টো তাদের ওপর চড়াও হতো মারিয়া।
এ ব্যাপারে কদমতলী থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, নির্যাতনের খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী মারিয়া সুলতানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি ।