196541

‘স্ত্রী-সন্তানকে বাইরে রেখে আমাকে রান্নাঘরে ধর্ষণ করত’

প্রায় প্রতিদিন টানা দু’বছর ধরে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শুধু ধর্ষনই নয় সাথে রয়েছে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। বর্তমানে মেয়েটি পাশবিক অত্যাচার থেকে মুক্তি পেলেও দিল্লির বি কে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিই পলাতক। আর এই খবরেই ফের তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে দিল্লিতে।

ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোডা জেলার দু’জন ব্যক্তি মিলে সেই কিশোরীর ওপর গত দু’‌বছরে অত্যাচার চালিয়েছে। সেই নাবালিকা জানিয়েছে, দু’‌বছর আগে তার মা-বাবা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়। এরপর সেই নাবালিকা এবং তার দুই ভাইকে দেখশোনা করার জন্য তার দাদি তাদের সঙ্গে এসে থাকতে শুরু করেন। আর কিছুদিন পরে মাত্র চার হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে সুরিন্দর নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়।

মেয়েটি ভেবেছিল দিল্লি গিয়ে সে হয়ত কাজ করতে পারবে। কিন্তু মেয়েটিকে দিল্লি আনার পর সুরিন্দরের আসল চরিত্র জানতে পারে সে। দিন-রাত যৌন নির্যাতন করা হয় তাকে। মুখে কাপড় গুঁজে, হাত-পা বেঁধে চলত ধর্ষণ।

কিছুদিন পর মেয়েটিকে নিজেরই এক বন্ধু মণি মিশ্রর বাড়িতে কাজে পাঠায় সুরিন্দর। আর সেখানেই শুরু হয় নতুন করে অত্যাচার। কিন্তু এরপর সেই কিশোরী পুলিশকে যা জানায় তা আরও ভয়ঙ্কর।

সে জানায়, ‘মিশ্র নামে সেই ব্যক্তি রান্নাঘরেই আমাকে ধর্ষণ করতে থাকে। আমাকে থাকতেও হত রান্নাঘরের এক কোণে। সেই ব্যক্তির স্ত্রী এবং সন্তানরা রান্নাঘরের বাইরে থাকলেও ধর্ষণ করত মণি। এমনকি চলত পাশবিক অত্যাচার। সুরিন্দরের থেকেও বেশি অত্যাচার করা হত আমাকে।’

এখানেই শেষ নয়, কিশোরীকে সিগারেট দিয়ে ছ্যাঁকাও দেওয়া হত। এরপরই সে পালায়। এরপর দুই যুবক তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আক্রান্তের মুখে এই জবানবন্দি শুনে রীতিমতো শিউরে উঠেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে পলাতক অভিযুক্তদের ধরতে গঠন করা হয়েছে বিশেষ দলও।‌‌

ad

পাঠকের মতামত