196587

জুতা নিয়ে ঝগড়া, অতঃপর মিলল অন্তঃসত্ত্বার লাশ

নিউজ ডেস্ক ।। গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় জন্মদিনে মেয়ের জন্য জুতা না আনায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার পর আম্বিয়া খাতুন (২০) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের আবদুল বাতেন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আম্বিয়া খাতুন জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের বিনিরাইল গ্রামের মো. শামসুদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামীর নাম মোবারক হোসেন। তিনি চায়ের দোকানের ব্যবসা করেন। আম্বিয়া তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলে বলে জানা যায়।

আম্বিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত আম্বিয়ার মেয়ের জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার। তিনি শাশুড়িকে কেক আনতে বললে, শাশুড়ি জম্মদিনের কেক আনেন। তবে সেদিন মেয়ের জন্য জুতা না কথা থাকলেও আম্বিয়ার স্বামী মোবারক তা আনেননি। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। এ সময় মোবারক স্ত্রীকে চড়-থাপ্পড় মেরে দোকানে চলে যান।

এর কিছুক্ষণ পর ঘরের ভেতর থেকে আম্বিয়ার ঝুলন্ত দেহ মেলে। তখন তার শাশুড়ি দরজা ভেঙ্গে মই দিয়ে উঠে আম্বিয়াকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আম্বিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে নিহতের পরিবার এবং স্থানীয়রা বলছে অন্য কথা। তারা জানায়, তিন বছর আগে জাঙ্গালিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আম্বিয়াকে কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে করেন চায়ের দোকানী মোবারক হোসেন। বিয়ের পর থেকে আম্বিয়াকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন সহ্য করতে পারতো না। কারণে-অকারণে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন করতো স্বামী ও শাশুড়ি।

তারা আরও জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আম্বিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ সময় হাসপাতালে আম্বিয়ার মরদেহ রেখে তারা পালিয়ে যান।

প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে নিহত আম্বিয়ার গলায় দাগ পাওয়া গেছে বলে জানান কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তরিকুল ইসলাম।

তরিকুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের পর তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ad

পাঠকের মতামত