196430

সন্ধ্যা হলেই ধেয়ে আসছে ইট! ভূতের আতঙ্কে এলাকাবাসীর ঘুম হারাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সন্ধ্যা হলেই আচমকা ঢিল পড়ছে এলাকায়। বাড়ি থেকে বেরোতে ভরসা তাই বালিশ, গামলা, হেলমেট। ইট আতঙ্কে আর বেরতে পারছেন না স্থানীয়রা। তাহলে কি ভূতের আতঙ্ক? ইতিমধ্যে আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ভূতের খোঁজে নানা মত পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের কুলটির তাঁতিপাড়ার বাসিন্দাদের।

কে ছুড়ছে? হদিশ পাচ্ছেন না কেউই। প্রবীণ মহিলারা ভূতের তাণ্ডব মানলেও উড়িয়ে দিচ্ছেন যুবক-যুবতীরা। বলছেন, “দূর দূর। ওসব কিছু নয়। মানুষের কাজ। ধরা পড়লে যা হাল করব না!” ইটের ঘায়ে কেউ আহত হচ্ছেন। আবার কেউ অল্পের জন্য রক্ষা পাচ্ছেন। প্রায় এক মাস ধরে কমবেশি চলছে এই উপদ্রব। তবে গত পাঁচদিন ধরে এই উপদ্রবটি রুটিনে পরিণত হয়েছে।

পুলিশের দাবি, এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার সূত্রপাত সরস্বতী পুজোর দিন থেকে। সন্ধ্যায় পাড়ায় খিচুড়ি রান্না হচ্ছিল। জমজমাট আড্ডায় মেতেছিলেন সবাই। হঠাৎ একটি বাড়িতে ইট পড়ার শব্দ। উৎস খুঁজতে দৌড় লাগায় যুবকরা। কাউকে পাওয়া যায়নি। ফিরে আসার পর ফের ইট পড়ে।

তারপর দু’একদিন ইট পড়া বন্ধ হয়ে যায়। ফের শুরু হয় শনিবার থেকে। টানা পাঁচদিন ধরে সন্ধ্যা হলেই তাঁতিপাড়ার চারটি বাড়িতে ইট পড়ছে। কোন দিক থেকে ইট আসছে কেউ জানেন না। এলাকাবাসী কুলটি থানার পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ এলাকায় টহল দিয়ে গেছে। কিন্তু, কাউকে ধরতে পারেনি।

ভূতনাথ মণ্ডল নামে স্থানীয় বাসিন্দা জানান, পাড়ার বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তারা পাহারা দেওয়ার কথা ভাবছেন। দোপাটি তাঁতি নামে এক মহিলা বলেন বাথরুমের চালে প্রতিদিনই বড় বড় ঢিল পড়ছে। বাধ্য হয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মাথায় বালিশ, গামলা চাপাচ্ছি। তিনি ডেকে দেখান বাড়ির মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ভাঙা ইট। বাড়ির দেওয়ালে ইটের দাগ। তিনি ও তার মতো অনেকে মনে করেন ভূতে ঢিল ছুড়ছে, নইলে এখনও ধরা পড়ল না কেন?

এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের রাজ্য কাউন্সিলের সদস্য তথা কুলটির বিজ্ঞানের শিক্ষক কিংশুক মুখোপাধ্যায় জানান, “এটা কোনও দুষ্কৃতীদের কাজ। প্রথম প্রথম হয়তো বিচ্ছিন্নভাবে ঢিল ছুড়ছিল। প্রচার হতেই আতঙ্ক ছড়াতে সংগঠিতভাবে এই কাজ করছে দুষ্কৃতীরা।” কুলটি থানার পুলিশ জানায়, “রোজ এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।” খুব তাড়াতাড়ি রহস্য ফাঁস হবে বলে অনুমান করছে পুলিশ।

ad

পাঠকের মতামত