জুতা ধুয়ে শিক্ষার্থীকে পানি খাওয়ালেন শিক্ষক!
পড়া না পারায় সহপাঠীদের জুতা ও পা ধুয়ে এক শিক্ষার্থীকে পানি খাওয়ানোর অভিযোগে মো. মনিরুজ্জামান (৫৫) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ওই শিক্ষকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ঝালকাঠির শহরতলির বিকনা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বিকনা এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বিকনা দ্বীনিয়া মহিবুল্লাহ নূরানি মাদ্রাসার শিক্ষক। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ঝালকাঠি থানায় ২০১৩ সালের শিশু আইনের ৭০ ধারায় (শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা) একটি মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, রোববার (২৮ জানুয়ারি) ঝালকাঠির শহরতলির বিকনা দ্বীনিয়া মহিবুল্লাহ নূরানি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির গণিত ক্লাস চলাকালে শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান শিক্ষার্থীদের এক থেকে ৫০ পর্যন্ত লিখতে বলেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাছিরুল্লাহ নামে এক শিশু তা লিখতে পারেনি। যারা লিখতে পেরেছে তাদের জুতা ও পা ধোয়া পানি জোর করে শিক্ষার্থী নাছিরুল্লাহকে খাওয়ান শিক্ষক মনিরুজ্জামান। বাড়িতে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির পরিবার তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করায়।
নাছিরুল্লাহ ঝালকাঠি শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে শিশু আইনে ঝালকাঠি থানায় মামলা করেন।
ঝালকাঠি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, মামলা করার পর শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়। বুধবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
শিশুটির বাবা রুহুল আমিন বলেন, পড়া না পারলে শিশুদের অভিভাবকদের বিষয়টি জানাতে পারতেন শিক্ষক। কিন্তু তা না করে আমার ছেলেকে সহপাঠীদের জুতা ও পা ধোয়া পানি জোর করে খাওয়ানো হয়েছে। শিশুর প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণের আমি বিচার চাই।