196112

রান পাহাড়ে দাঁড়িয়ে দিনশেষে মুশফিকের জন্য আফসোস

প্রথম দিনটা কী দুর্দান্তই না খেলল বাংলাদেশ। দুই ট্রেডমার্ক ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহিম গড়লেন ২৩৬ রানের জুটি। দিনশেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়াল ৪ উইকেটে ৩৭৪। মানে প্রায় চারশর কাছাকাছি। দিনের শেষ মুহূর্তে দুটি উইকেট হারিয়ে হঠাৎ এলোমেলো হয়ে গেল টাইগারদের ব্যাটিং। মাত্র ৮ রানের জন্য ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি মিস করলেন মুশফিক। তার জন্য আফসোসটাই বেশি। লিটন দাস কোনো দায়িত্ব নিতে না পেরেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মারলেন। অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহর (৯*) সঙ্গে দিনের বাকী সময় কাটিয়ে দিলেন দুর্দান্ত ইনিংস খেলা মুমিনুল হক (১৭৫*)।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে স্বপ্নের মত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। অনেক দিন পর ইমরুলকে পার্টনার হিসেবে পেয়ে জমিয়ে ফেলেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ৪৬ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর দিলরুয়ান পেরেরার বলে ৫২ রানে বোল্ড হয়ে যান দেশসেরা ওপেনার। ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকেই কেবল হাফ সেঞ্চুরি করে যাচ্ছেন তামিম। তিন অংকে যাওয়াটা কেনে যেন হচ্ছেই না।

৭২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন ইমরুল ও মুমিনুল। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে ৪৮ রানের জুটি গড়েন। ৭৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করা ইমরুল কায়েস সান্দাকানের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর দলের হাল ধরেন মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম। মাত্র ৯৬ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। দুজনের ব্যাটে দ্রুত ঘুরতে থাকে রানের চাকা। মুমিনুলকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া মুশফিকও ১২১ বল খেলে ক্যারিয়ারের ১৯তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন।

প্রথম দিনের খেলা প্রায় ঘণ্টাখানেক বাকী থাকতেই ৩০০ ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। মুমিনুলকে থামানোর কেউ নেই। দেড়শ রান ছাড়িয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন নিজের সর্বোচ্চ ১৮১ রানের রেকর্ড ভাঙার জন্য। জুটি ছাড়িয়ে যায় দুইশ। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন! ক্যাপ্টেন্সি হারানোর পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম ১৯২ বলে ৯২ রান করে সুরঙ্গা লাকমলের বলে উইকেটকিপার নিরোশান ডিকাভেলার গ্লাভসে ধরা পড়েন! শেষ হয় ২৩৬ রানের রেকর্ড গড়া জুটি। মুশি আউট হওয়ার পরের বলেই বোল্ড হয়ে গেলেন লিটন দাস (০)। উড়তে থাকা বাংলাদেশ শেষ বেলায় হঠাৎ বিপর্যয়ে পড়ে। বিপদ সামাল দিয়ে মুমিনুল হক (১৭৫*) আর অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ (৯*) নিরাপদেই বাকী সময় কাটিয়ে দেন।

ad

পাঠকের মতামত