দশম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদ উল্লাহর অভিষেক
তার মাঝে দারুণ নেতৃত্বগুণ আছে। বিপিএলে পরপর দুই সিজন খুলনা টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিয়ে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন। অনেকেই জাতীয় দলের পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে তাকেই দেখে থাকেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে এবার সত্যি সত্যিই স্বপ্নপূরণ হলো ময়মনসিংহের তারকার। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দশম অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট অভিষেক হয়ে গেল মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের।
তবে ঠিক যেভাবে নেতৃত্ব পেলেন রিয়াদ, তিনি সেভাবে প্রত্যাশা করেননি। তারই সতীর্থ জাতীয় দলের ট্রেডমার্ক অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ইনজুরিতেই তিনি অধিনায়ক হয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে টেস্ট দলের নেতৃত্ব পেয়ে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টের আগেই সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আঙুলের চোট পড়েন সাকিব। এই সিরিজে তিনি অনিশ্চিত।
মাহমুদ উল্লাহর আগে বাংলাদেশকে টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন, হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ আশরাফুল, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম এবং তামিম ইকবাল।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক। ৩৪ টেস্টে ৭ জয়, ১৮ হার ও ৯টি ম্যাচ ড্র হয় মুশফিকুরের নেতৃত্বে। এরপর ১৮টি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাবিবুল বাশার। অবশ্য তার নেতৃত্বে মাত্র ১টি জয় পায় টাইগাররা। পাশাপাশি ১৩টি হার ও ৪টি ম্যাচ ড্র ছিল।
তৃতীয় ও চতুর্থ সর্বোচ্চ ১৩টি ও ১২টি করে ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে যথাক্রমে মোহাম্মদ আশরাফুল ও খালেদ মাসুদ। নেতত্ব থাকাকালীন দুজনের কেউই বাংলাদেশকে জয়ের স্বাদ দিতে পারেননি। আশরাফুল ও মাসুদের নেতৃত্বে সমান ১২টি করে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। অ্যাশের নেতৃত্বে ১টি ম্যাচ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এবার দেখার পালা নেতৃত্বের অভিষেকে বাংলাদেশকে কী উপহার দেন রিয়াদ।