এ কেমন ব্যাটিং লিটনের, পিছনে ফিরে দেখেন স্টাম্প উড়ে গেছে!
ভাবা হচ্ছিল মুশফিকের আউটটি হবে আজকে বাংলাদেশের পড়া দিনের শেষ উইকেট। আর উইকেট হয়তো পরবেনা। কিন্তু সেই ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে লাকমলের পড়ের বলেই দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে ফিরে গেলেন লিটন দাস। আর লাকমলকে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ করে দিলেন তিনি। এর আগের বলেই যেখানে মুশফিক আউট হলেন তাতে অন্তত বলটি দেখে শুনে ছাড়াতে পারতেন।
লিটন বল ছেড়ে দিলেন পেছনর ফিরে দেখেন স্টাম্প উড়ে গেছে। এমন একটা চাপ মুক্ত সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারলেন না লিটন।
দিন শেষে যেখানে লেখার কথা ছিলো ৩ উইকেটে ৩৭৪ রান সেখানে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন পরিচয় দিয়ে শুণ্য রানে বিদায় নিলেন তিনি। তাই দিন শেষে লিখতে হলো ৪ উইকেটে ৩৭৪ রান।
দিনে শুরু বেশ ভালো হলেও দিনে ঠিক শেষ বেলাতে কেন যেন বাংলাদেশে ব্যাটিংয়ের একটা ধস নামে বাংলাদেশ দলে। প্রতিটা টেস্টে এটা যেন একটা নিত্য দিনে ব্যপারে পরিনত হয়েছে।
এমন আশঙ্কা তামিমও করলেন। মুশফিক ফিরে গেলে বড় ধ্বসের আশঙ্কা করেছিলেন তামিম। কেননা পূর্বে এরূপ নজীর অনেক আছে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে।
তামিম বলেন, দ্বিতীয় উইকেটে (আসলে তৃতীয়) আমরা যেভাবে পারফর্ম করেছি, আমার কাছে মনে হয় ওইভাবে শেষ করতে পারলে এটা ‘কমপ্লিট পারফর্মেন্স’ হতে পারতো। সত্যি কথা এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, যাতে কোনো ধ্বস না নামে। সধারণত কোনো বড় জুটি হলে আমাদের ক্ষেত্রে এমন হয়। ‘ একটু বেশি হয়। ‘
দিনের শেষের দিকে মুশফিক ৯২ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পর কোনো রান না করেই ফিরে যান লিটন কুমার দাস। লিটনের আউটটিকে দুঃখজনক হিসেবে আখ্যা দিয়ে তামিম বলেন, ‘আমরা আমাদের পক্ষ থেকে ব্যাটসম্যানদের এ বিষয়ে বার্তা দিচ্ছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মুশফিক আউট হওয়ার পর লিটন আউট হয়ে গেলো। ‘শেষের দিকে পর পর দুটি উইকেট হারালেও দিনটি বাংলাদেশেরই ছিলো। স্কোরবোর্ডের দিকে তাকালেই অবশ্য এর চাক্ষুষ প্রমাণ পাওয়া যায়। তামিম নিজেও মানছেন বিষয়টি।