আমার ব্যাকগ্রাউন্ডটা একবার জেনে নিক: নুসরাত জাহান
বিনোদন ডেস্ক।।
হোয়াটসঅ্যাপ করলেই প্রেম হয়ে যায় না। আর শুধু কী প্রেমিকের সঙ্গেই হোয়াটসঅ্যাপ হয়? বন্ধুর সঙ্গে হয় না? টালিউডের প্রখ্যাত প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের। দু’জনে নাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা হোয়াটসঅ্যাপে সময় কাটান। এসভিএফের অফিসে গিয়ে শ্রীকান্তের সঙ্গে আলাপচারিতায় মাতেন নায়িকা। এর জেরেই নাকি ভাঙতে চলেছে শ্রীকান্ত-সরিতার ২২ বছরের বিবাহিত জীবন। এমন খবর শুনে বেজায় চটেছেন নুসরাত।
নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে নুসরাত বলেন, শ্রীকান্তদার সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে যারা গুজব রটাচ্ছে, তারা এটা জেনে রাখুক, শ্রীকান্তদার পাশ থেকে সরে আসব না। বন্ধু হিসেবে সবসময় পাশে থাকব। যেমন আগেও ছিলাম। শ্রীকান্তদার স্ত্রী সরিতা লাভলি লেডি।তাদের দু’জনের সঙ্গেই আমার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মধ্যে প্রায়ই গার্লি টক হয়। কখনও শ্রীকান্তদা সেখানে মাথা গলায় না। ইন্ডাস্ট্রির অনেকই এ কথা জানে। বিভিন্ন সময় নানাভাবে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আমি সজাগ থাকায় ব্যাপারটা বেশিদুর গড়ায়নি। আজ বলা হচ্ছে, আমার জন্য নাকি ওরা আলাদা হয়ে যাচ্ছে। শ্রীকান্ত-সরিতার ডিভোর্সের জন্য আমি দায়ী নই। এই অন্যায় অভিযোগের দায় আমি কিছুতেই মেনে নেব না। যারা এসব ছড়াচ্ছে, তারা কী ভাবছে? এই গসিপের আঁচ পেয়ে আমি তাদের দু’জনের থেকে দুরে সরে যাব? এজন্মে সেটা হবে না। আমি বন্ধু হিসেবে এই টাফ ফেজে তাদের পাশেই থাকব। কেন তারা ২২ বছরের বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছেন জানি না। বিষয়টি তাদের ব্যক্তিগত। এ নিয়ে শ্রীকান্তদার সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। আসলে ‘লাভওয়ালা অ্যাঙ্গল’ আমাদের কথাবার্তায় কখনওই থাকে না। তারপরেও যারা চেষ্টা করে আমার গায়ে কালি লাগাতে চাইছে। তারা তো বেচারা।
মজার বিষয় হল, শ্রীকান্ত-সরিতার ডিভোর্সের কারণ হিসেবে আমাকে দেখিয়েও তারা ক্ষান্ত হয়নি। নিন্দুকদের কেউ কেউ নাকি শ্রীকান্তদার সঙ্গে আমার বিয়ের দিনও ঠিক করে ফেলেছে। সে খবরও পেয়েছি। এদের কী কোনও বোধ নেই? সব্বাইকে নিজেদের ছাঁচে ফেলে ভাবতে শুরু করেছে। আমার ব্যাকগ্রাউন্ডটা একবার জেনে নিক। কোন পরিবার থেকে আমি এসেছি। আমার বাবা মায়ের দীর্ঘ বিবাহিত জীবন। শৈশব থেকেই বিয়েকে খুব পবিত্র সম্পর্ক হিসেবে ভাবতে শিখেছি। অন্য কারও ঘর ভাঙার শিক্ষা বাবা মা আমাকে দেয়নি। আজ এসব খবরে আমার পরিবারে আমাকে কৈফিয়ৎ দিতে হচ্ছে। এছাড়া শ্রীকান্তদার ফ্যামিলি রয়েছে। তার ছেলেরা যথেষ্ট বড়। এই কুৎসা যারা রটিয়েছে তাদের অনেককেই শ্রীকান্তদা একদিন নিজের হাতে তৈরি করেছেন। তারা এখন পালটি খেয়েছে। তারা কী ভেবেছিল স্বার্থপরের মতো আমি পালটি খাব? ডিভোর্সের প্রসঙ্গ তুলে শ্রীকান্তদার বদনাম করব? যেই দেখল আমি তাদের পাশেই থাকলাম, তখন নাম না করেও ডিভোর্সের দায়ভার আমার ঘাড়েই চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাদের তো এটাও জানা উচিত, ৬ বছর ধরে একজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে। শ্রীকান্তদা-সরিতার সঙ্গে কতদিন আমরা দু’জনে অড্ডা দিয়েছি। পার্টি করেছি।
আজকে বলছে আমি নাকি কাজ পাওয়ার জন্য এসভিএফ অফিসে গিয়ে বসে থাকি। আরে সেখানে তো ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই যায়। প্রেমই যদি করব তাহলে আমাদের দু’জনেরই বাড়ি আছে, অন্য জায়গা আছে শহরে, সেখানেই করব। আর হোয়াটসঅ্যাপে কী প্রেম হয়? হোয়াটসঅ্যাপে তো বন্ধুর সঙ্গেও কথা বলি। তাই বলে সবার সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক! বন্ধু বলে কোনও শব্দ কী তাদের ডিকশনারিতে নেই? এসভিএফে গিয়ে ছবি পাই মানে? আমার কটা ছবির প্রযোজক এসভিএফ? যারা এসব রটাচ্ছে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ। ওদের বলব প্লিজ গ্রো আপ। দে নিড টু ভিজিট এ ডক্টর। দুঃখের বিষয় এইসব রটনাকারীদের ফাঁদে পা দিচ্ছে বেশ কিছু মিডিয়া। উৎস: সংবাদ প্রতিদিন