‘সাকিবের হাত দেখেই শিওর হয়েছিলাম ব্যাটিংয়ে পাচ্ছি না’
ফিল্ডিংয়ের সময় আঙ্গুলে চোট পান সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে তাই ব্যাট করা হয়নি তার। এ নিয়ে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে প্রভাব পড়ার কথা। যদিও দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফির জানিয়েছেন, মাঠে তারা সাকিবের হাত দেখেই টের পেয়েছিলেন সাকিব ব্যাট করতে পারবেন না।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের ফাইনালে ৭৯ রানে হারে বাংলাদেশ। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সাকিবকে ছাড়াই ব্যাট করতে হয়েছে তাদের। ম্যাচ শেষে মাশরাফি জানান, ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই নিজেদের মধ্যে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তারা। কারণ জানতেন সাকিব ব্যাট করতে পারবেন না।
মাশরাফি বলেন, ‘সাকিব যখন পড়ে যায়, তার হাত দেখে আমরা শিওর হয়েছিলাম তাকে আমরা ব্যাটিংয়ে পাচ্ছি না। প্রত্যেক খেলোয়াড়রই জানতো সাকিব খেলতে পারবে না। ড্রেসিংরুমে আমরা আলোচনাও করেছি। সাকিব ব্যাটিং করতে পারবে না, এটা মাথায় মধ্যে কাউকে না আনতে। আমার হয়তো এটা এক্সকিউজ দেওয়া ঠিক হবে না। ২২১ চেজ করার মতো ব্যাটসম্যান আমাদের ছিলো।’
আঙ্গুলের ওই চোটের কারণে মাঠ থেকে বের হয়ে সোজা হাসপাতালে যান সাকিব। সেখানে চিকিৎসকরা স্ক্যান করার পর জানান, আঙ্গুলে চিড় পাওয়া গেছে। এ জন্য সেলাইও দিতে হয়েছে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজেও একটিতেও হয়তো সেক্ষেত্রে মাঠে নামা হচ্ছে না তার। প্রথমটি, অর্থাৎ চট্টগ্রাম টেস্টে নেই তিনি। শঙ্কা রয়েছে ঢাকা টেস্ট নিয়েও। এই সিরিজ দিয়েই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছিলেন সাকিব।
সেক্ষেত্রে সাকিবের অভাব টেস্টে দলকে বড় সমস্যার মধ্যে ফেলবে বলে ভাবনা মাশরাফির। তারপরও দলকে এই সময়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে বলছেন তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘এটাই চ্যালেঞ্জ দলের জন্য। এখান থেকে কিভাবে উঠে আসা যায়, এখান থেকে কীভাবে ভালো খেলা যায় সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অবশ্যই আমি বলবো টেস্ট সিরিজটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে সিরিজের সঙ্গে টেস্টের ব্যবধান থাকে। সিরিজ জিতলে পুরো টিমের চেহারাই অন্যরকম হতো। কাজেই আমরা এখন টেস্টের দিকেই তাকিয়ে আছি। আর সাকিব না থাকাটা যে কেউ বলবে আমাদের জন্য অসুবিধার। ইনজুরির সঙ্গে আসলে কিছুই করার নেই নাই।’