‘পরকীয়া’, অতঃপর আত্মহত্যা একসঙ্গে
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় ‘পরকীয়ার’ জের ধরে কীটনাশক পানে এক তরুণ ও কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুজনের মৃত্যু হয়।
নিহত দুজন হলেন—উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের মুন্তাজ আলীর মেয়ে আদরী খাতুন (১৫)। সে মাকাপুর-বল্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। অপরজন মাকাপুর গ্রামের জৈন মৃধার ছেলে আল-আমিন (২৫)। তার স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে।
মাকাপুর-বল্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, আদরী দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। সে সপ্তাহে একদিন স্কুলে আসত। মেয়েটির বাবা ও নিহত আল-আমিন একসঙ্গে দিনমজুরের কাজ করতেন। ওই সূত্রেই আল-আমিন ও আদরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
নূরুল ইসলাম আরও জানান, উভয়ের পরিবার বিষয়টি মেনে নেবে না, এই ভয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্কুলের পাশেই একটি গাবগাছের নিচে বসে দুজন একসঙ্গে কীটনাশক পান করে। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে তাদের উদ্ধার করে পুড়াপাড়া বাজারের গ্রাম্য চিকিৎসক চাঁন মিয়ার কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে তাদের চৌগাছা উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে আল্-আমিনের মৃত্যু হয়। এর পর গভীর রাতে আদরীর মৃত্যু হয়।
আদুরীর ভাই সেকেন্দার আলী জানান, বোনের প্রেমের বিষয়টি জানার পর গত বৃহস্পতিবার তাকে বকাঝকা করা হয়। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় বল্লভপুর স্কুলের মাঠে গিয়ে আদুরি ও আল-আমিন বিষপান করে।
স্থানীয় সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সাইফুল ইসলাম দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুজনের ময়নাতদন্ত শেষে, নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামিম উদ্দিন জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন।