194820

শেষ পর্যন্ত নিজের মালিককেই যেভাবে ‘খেলো’ সেই পোষা সাপ

শেষ পর্যন্ত বিফল হলো সাপদের প্রতি ড্যানিয়েল ব্র্যান্ডনের এত ভালোবাসা। সম্প্রতি দক্ষিণ ইংল্যান্ডের চার্চ ক্রুকহ্যামে নিজের বাসায় সাপদের দ্বারাই তার মৃত্যু হলো।

ড্যান ব্র্যান্ডন। ৩১ বছরের এই যুবক সাপ পুষতে ভালোবাসতেন। ওই ভালোবাসা থেকেই সাপের কল্যাণে অর্থ সংগ্রহ করার উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

যে সাপটি তার মৃত্যুর জন্য দায়ী সেটি একটি আফ্রিকার পাইথন। এটি তিনি যখন পোষার জন্য আনেন তখন তার আকার এতই ছোট ছিল যে একে একটি হাতের তালুতে রাখা যেত। সাপটির নাম তিনি দিয়েছিলেন টাইনি। তবে এ সাপটিকে তিনি এত আদর করতেন যে একে তার ‘শিশু’ বলা হত।

সাপটি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তার কাছে ছিল। ধীরে ধীরে তা আট ফুট লম্বা হয়। এর পরেও কখনো তিনি সাপটিকে হুমকি মনে করেননি। এটি যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন স্বাচ্ছন্দ্যেই। এ কারণে সাপটি কিভাবে তাকে হত্যা করল, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাইনি নামে সাপটিই তাকে হত্যা করেছে।

দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, তিনি সাপকে যে কক্ষে রাখতেন সেখানেই তার লাশ পাওয়া যায়। লক্ষণ দেখে প্রাথমিকভাবে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে তার পোষা অজগর সাপ গলা জড়িয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে কি না, এ বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডিউ ব্র্যাডলি। তিনি বলেন, সাপটি হয়ত তাকে হঠাৎ অপ্রস্তুত অবস্থায় পেঁচিয়ে ফেলেছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে এমনভাবে হত্যার ঘটনা আগে ঘটেনি। আর এ বিষয়টি যদি সত্যিই হয়ে থাকে তাহলে তা হবে দেশটিতে প্রথম ঘটনা।

তবে ব্র্যান্ডন সাপ পোষার ক্ষেত্রে বহুদিনের অভিজ্ঞ ছিলেন। তার বিশাল বার্মিজ প্রজাতির অজগরসহ বহু ধরনের সাপ ছিল। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে একটি পাতাও তৈরি করেছিলেন। এখন তার অর্থ সংগ্রহের বিষয়টিও অনিশ্চিত হয়ে গেছে।

ad

পাঠকের মতামত