194715

ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়া দিলো বড় ভাই! (ছবিসহ)

ভালোবেসে বিয়ে করে ঘর সংসার করছিলেন জেসমিন। শ্বশুড়-শাশুড়ী ছেলের ভালোবাসা আর বিয়ে মেনে নিলেও মেনে নেয়নি স্বামীর দুই ভাই। বার বার ঘর থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। না পেরে অবশেষে ভাবী আর ভাইকে যৌথ পারিবার থেকে পৃথক করে দেয়া হয়। এরপর আলাদা বাড়ী। তারপরেও রক্ষা হয়নি গৃহবধু জেসমিন আক্তারের।

স্বামী বাদশা আলম বাড়ীতে না থাকার সুযোগে জেসমিন আক্তারকে বেধড়ক পিটিয়ে শরীর জখম, রক্তাক্ত ও গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়া দিয়ে অমানুসিক নির্যাতন করে ঘরে তালা লাগিয়ে রাখা হয়। পুলিশ গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ যেন নির্মম বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বালাটারী গ্রামে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে আহত গৃহবধুকে প্রথমে আদিতমারী হাসপাতাল পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জেসমিন আক্তার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্যমতে, বালাটারী গ্রামের হাফেজ আলীর ছেলে বাদশা আলম আড়াই বছর আগে প্রেম করে একই উপজেলার জাফর উদ্দিনের মেয়ে জেসমনি আক্তারকে বিয়ে করেন। বাদশার পিতা-মাতা বিয়ে মেনে নিলেও তার দুই ভাই নুর ইসলাম (৩০) ও নুর আলম (২৮) এ বিয়ে ও ভাইয়ের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে মেনে নেয় নি। বাদশা-জেসমিন দম্পতিকে বাড়ি থেকে আলাদা করে অন্য বাড়িতে দেয়া হয়। ওই ঘটনার জের ধরে জেসমিনকে বাড়ী ছাড়া করতে অনৈতিকভাবে প্রায়ই ঝগড়া, মারপিট করত নুর আলম ও নুর ইসলাম। এ নিয়ে কয়েকদফা গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয়।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বিকেলে বাদশা আলম বাজারে গেলে জেসমিন নুর আলমদের বাড়ীর সামনে বেড়াতে গেলে স্বামীর বড় ভাই নুর আলম জেসমিনকে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে গিয়ে কথা- বার্তার এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে লোহার রড দিয়ে বেদম মারপিট করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। গুরুত্বর আহতাবস্থায় জেসমিন মাটিতে পরে গেলে এ সুযোগে মরিচের গুড়া মিশ্রিত পানি জেসমিনের গোপনাঙ্গে ও সমস্ত শরীরে ঢেলে দেয়। স্থানীয়দের দেয়া খবরে স্বামী বাদশা আলম জেসমিনকে উদ্ধার করতে গেলে তাকে দেখতে দেয়া হয়নি। পরে আদিতমারী থানা পুলিশের সহযোগীতায় বুধবার ভোরে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী হাসপাতালে পরে আশংকাজনক অবস্থায় লালমনিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জেসমিন আক্তারের স্বামী বাদশা আলম বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গৃহবধু জেসমিন আক্তার বলেন, স্বামীর ভাই ডেকে নিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই লোহার রড দিয়ে মারপিট ও শরীর জখম করে দেয়। আমি গুরতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে আমার শরীরে ও …মরিচের গুড়া মিশ্রিত পানি শরীরে ঢেলে দিলে চরম যন্ত্রণা করতে থাকে। এসময় আমি অজ্ঞান হয়ে যাই, কিছু বলতে পারি না।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সামিহা তাসনিম মুনমুন বলেন, গৃহবধুর সমস্ত শরীরে আঘাত ও জখমের চিহৃ রয়েছে। গোপনাঙ্গের যন্ত্রণা কম হচ্ছে জেনেছি। তবে চোখের সমস্যা এখনও কমেনি। এখনও নিবিড় চিকিৎসা চলছে।

আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ হরেশ রায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে জরুরি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্র: বিডি২৪লাইভ

ad

পাঠকের মতামত