194485

প্রেমিকার জন্য করলেন চুরি, প্রেমিকাই পালাল অন্যের হাত ধরে

ভাবের ঘরে চুরি করাই যায়। কিন্তু যাঁর জন্য চুরিটি করবেন একটু ভেবেচিন্তে নেওয়াই ভাল। না হলে আপনার অবস্থাও রমেশের মতোই হতে পারে। প্রেমিকার সঙ্গে সারা জীবন থাকবেন। এই ছিল তাঁর বাসনা। থাকার মূল্য জোগাড় করতে চুরি পর্যন্ত করেছিলেন। সেই চুরির টাকাই জরিমানা হিসেবে দিতে গিয়েই মাথায় যেন বাজ পড়ল রাজস্থানের যুবকের। জানতে পারলেন, অন্য মনের মানুষ জুটিয়ে তাঁর সঙ্গেই পালিয়েছেন প্রেমিকা।

জয়পুরের এক গ্রামে বাস ২২ বছরের রমেশের। কোনওমতে ছোটখাটো কাজ করে দিন চলে যেত তাঁর। গ্রামেরই এক তরুণীকে মন দিয়ে বসেন। ‘বাউন্ডুলে’ রমেশকে মোটেও পছন্দ ছিল না তরুণীর পরিবারের। অগত্যা বিপ্লবের পথই বেছে নিয়েছিল প্রেম। প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান রমেশ। গ্রামের বাইরে নতুন সংসার পাতেন যুগল। কিন্তু পেটের টানে ফের ফিরে আসতে হয় গ্রামে। প্রেমিকার বাড়ির লোক তখন পঞ্চায়েত দ্বারস্থ হন। সব পক্ষ শুনে খাপ পঞ্চায়েত নিদান দেয়, যে ‘অপকর্ম’ করেছেন তার মূল্য চোকাতে হবে ২২ বছরের যুবককে। তরুণীর পরিবারকে ৪০,০০০ টাকা দিতে হবে তাঁকে। এরপরই প্রেমিকার সঙ্গে থাকার অনুমতি পাবেন।

সন্তুষ্ট না হলেও এ নিদান মেনে নিতে হয় রমেশকে। কিন্তু কোথা থেকে টাকা জোগাড় হবে? চুরি ছাড়া যে উপায় নেই! অতএব চুরিই শুরু করে দেন যুবক। যাত্রীদের বাইক চুরি করে তা বেচে টাকা জমাতে থাকেন। ৪০,০০০ টাকা জমেও যায়। টাকা দিতে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়েই যেন মাথায় বাজ পড়ে রমেশের। যে প্রেমিকার জন্য আজ তিনি চোর, সেই প্রেমিকাই অন্য কারও সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। ভগ্ন হৃদয়ে পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন রমেশ। তাঁর দুই সঙ্গীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেরায় রমেশ জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশটি বাইক চুরি করেছেন তিনি। এর জন্য আপাতত বেশ কিছুদিন শ্রীঘরেই কাটাতে হবে তাঁকে।

ad

পাঠকের মতামত