194157

এবার বিজ্ঞানীরা জানালেন মাত্র ১ মিনিটেই ঘুমিয়ে পড়ার জাদুকরী কৌশল সম্পর্কে!

প্রতিদিনই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও কিছুতেই সময়মত ঘুমাতে যাওয়া হয়না। কোনো না কোনো কারণে দেরী হয়েই যায়। আবার সময়মত ঘুমানোর জন্য বিছানায় গেলেও এপাশ ওপাশ করে ঘুম আসে না। ভালো ঘুমের জন্য কী করা উচিত তাহলে?

ঘুম না আসা খুবই যন্ত্রণাকর একটি ব্যাপার। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করা এবং ঘড়ির দিকে তাকিয়ে রাত পার করার যন্ত্রণা যারা ভুক্তভুগি তারাই বলতে পারবেন।

ঘুম না হওয়ার সবচাইতে প্রথম ও প্রধান কারণ হচ্ছে মন অস্থির থাকা। আর মন অস্থির হয়ে থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ। মানসিক চাপ হওয়ার কারণে ঘুম আসতে চায় না একেবারেই।

শিল্পোন্নত দেশগুলোর অন্তত দশ শতাংশ মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভোগে৷ অথচ সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কী হতে পারে, তা গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে দীর্ঘ গবেষণা শেষে সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়ে এমন সমস্যার সমাধান এবার জানিয়েছেন একদল গবেষক।

ঘুম যেন এক রহস্য দ্বীপ। আবছা আলো-আঁধারে ঢাকা। ‘ঘুম ঘোরে কে আসে মনোহর?’ আবার, ‘কখনো জাগরণে যায় বিভাবরী।’

এ শরীর যার, যে জগতে এর বাস, তার যেন তেমন ভূমিকাই নেই, বিস্মৃত সে এ জগৎ সম্বন্ধে।আমরা সবাই এমন অবস্থায় জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময় কাটাই।

নতুন এক গবেষণায় Byrdie এর লেখিকা অ্যালিনা গঞ্জালেস বলেন, ‘একধরণের শ্বাস প্রশ্বাসের বিশেষ ব্যায়াম রয়েছে যা ঘুমাতে অনেক বেশী সহায়ক।

এই পদ্ধতিটির নাম ৪-৭-৮ মেথড। যারা অনিদ্রা সমস্যায় ভোগেন তারা এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করে অনেক ভালো ফলাফল পেয়েছেন’।

চলুন তাহলে শিখে নেয়া যাক চমৎকার এই পদ্ধতিটি যার মাধ্যমে মাত্র ১ মিনিটেই ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন আপনি।
নিঃশ্বাসের ব্যায়াম

– প্রথমে ৪ সেকেন্ড নাক দিয়ে খুব ভালো করে শ্বাস নিন।

– এরপর ৭ সেকেন্ড দম ধরে রাখুন। শ্বাস ছাড়বেন না।

– তারপর ৮ সেকেন্ড ধরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।

– এভাবে কয়েক বার করুন এবং ঘুমুতে যান।

কেন এই প্রক্রিয়াটি কার্যকরী?

অনেকেই ভাবতে পারেন এই প্রক্রিয়াটি কেন কাজে দেবে বা এই প্রক্রিয়ায় কেন ১ মিনিটের মধ্যে ঘুম চলে আসবে। এই বিশেষ ধরণের নিঃশ্বাসের পদ্ধতিতে শুধুমাত্র আপনার ফুসফুসের উপরে প্রভাব ফেলে না এই পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের উপরেও কাজ হয় যা ঘুমাতে সহায়তা করে।

আপনি যখন শুয়ে ঘুম না আসা নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন এবং অপেক্ষা করেন তখন আরও বেশী মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় যা আরও বেশী ব্যাঘাত ঘটে। কাম ক্লিনিকের গবেষক বলেন যখন আমরা দুশ্চিন্তা করি এবং চিন্তা করতে থাকি তখন আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব ঘটে।

 

এতে করেই অনেক বেশী ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে। যখন এই ৪-৭-৮ নিঃশ্বাসের ব্যায়ামটি করা হয় তখন অক্সিজেন আমাদের মস্তিষ্কে ভালো করে পৌছায়।

যখন আপনি ৪ সেকেন্ড শ্বাস নেন তক্ষন তা আপনাকে শান্ত করে এবং যখন ৭ সেকেন্ড দম ধরে থাকেন তখন মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌছায়।

এরপর আপনি যখন দম ছাড়েন তখন আপনার দেহ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড দূর হয়ে যায়। এতে আপনার হার্টবিটও কমে আসবে এবং আপনার দুশ্চিন্তা কমে আসবে। আপনার দেহ ও মন রিলাক্স হবে। আর এ কারণেই ঘুমের উদ্রেক ঘটে। চেষ্টা করেই দেখুন না।

ad

পাঠকের মতামত