বৃষ্টিতে ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার লবণ
হঠাৎই বৃষ্টিতে ভেসে গেছে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানের লবণের মাঠ। যার দাম ছিলো পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা। এতে চরম বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে উপজেলার উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াধীন লবণ ভেসে যায়।
মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের কুতুবজোম এলাকার লবণ চাষি আজিজ মিয়া ও রাসেল বলেন, মাঠে প্রচুর লবণ ছিল। সকালে বৃষ্টিতে সব লবণ তলিয়ে গেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
হোয়ানক পানিরছড়ার লবণ চাষি জয়নাল আবেদীন জানান, চলতি বছরে ১০ একর লবণ মাঠ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। লবণ চাষিদের সভা-সমাবেশের কারণে লবণের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ এ বৃষ্টির কারণে প্রায় ৫ লাখ টাকারও বেশ ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বৃষ্টি শেষ হওয়ার পরপরই পুনরায় মাঠে নামার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে চাষিদের। লবণ চাষিদের ভাষ্য, বৃষ্টি হলেও এবার মৌসুম ভালো থাকলে লবণ উৎপাদন করে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যাবে।
কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন বলেন, গেল বছর লবণের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় চাষিরা এ বছর সহায় সম্বল বিক্রি করে নেমে পড়েছেন লবণ চাষে। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারণে কুতুবজোম ইউনিয়নের চাষিদের কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহির উদ্দীন বলেন, নতুন বছরে লবণ উৎপাদনের শুরুতেই বৃষ্টিতে উপজেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে ধারণা করছেন তিনি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও লবণের উৎপাদন ভালো হবে বলে জানান।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, লবণ মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তবে অনাবাদি মাঠও চাষের আওতায় আসছে। তাই লবণ উৎপাদন নিয়ে সংকটে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। সৌজন্যেঃ সমকাল