কে সেই মুসলিম যার একটি গাড়ির মূল্যই ১৪০ কোটি রুপি!
পৃথিবীতে মুসলিম শাসকরা যে শাহি কীর্তি রেখে গেছেন তা কারো কাছে অস্পষ্ট নয়। বর্তমানেও থেমে নেই সেই ধারা।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসান আল বুলকিয়ার কেবল একটি গাড়ির মূল্যই ১৪০ কোটি রুপি। তার কাছে এমন মূল্যবান গাড়ি রয়েছে অন্তত আরো ৭টি।
এই গাড়ির মূল বডি্তেই ২৪ কিরাত খাঁটি স্বর্ণ ব্যকহার করা হয়েছে। বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ছাড়াও পুরো গাড়িতে নকশার জন্য স্বর্ণের ব্যবহার করা হয়েছে।
২০০৪ সালে সুলতান তার ছেলের বিয়েতে যাওয়ার সময় এই গাড়ীতে প্রায় ১০ কিলোমিটার সফর করেন। আর এই বিয়ে ছিলো বিশ্বের সর্বাধিক ব্যয়বহুল বিয়ের একটি।
পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই মুসলিম নারীরা এবার থেকে হজ যাত্রা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুরুষ অভিভাবক সঙ্গীদের সাথে নিয়ে মুসলিম নারীদের হজে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের বিষয়টিকে ‘অবিচার’ বলে আখ্যায়িত করে নরেন্দ্র মোদি জানান, তাঁর সরকার এই বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে এবং এর ফলে ইতিমধ্যেই কয়েক শতাধিক মুসলিম নারী এককভাবেই হজে যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
রবিবার রেডিওতে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেন এই বৈষম্য? আমি যখন গভীরভাবে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করলাম, আমি তখন অবাক হয়ে গিয়েছি। স্বাধীনতা লাভের ৭০ বছর পরেও আমরা এই ধরনের একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছি। কয়েক দশক ধরে মুসলিম নারীদের প্রতি এই অবিচার চলে আসছে, কিন্তু এটা নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি’।
অনেক মুসলিম রাষ্ট্রেই যে এই নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রচলন নেই সেকথাও এদিন মনে করিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন ‘এটা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে যদি কোন মুসলিম নারী হজে যেতে যান তবে তাঁকে অবশ্যই ‘মাহরাম’ কিংবা একজন পুরুষ অভিভাবককে সাথে নিয়ে যেতে হবে, না হলে তিনি হজ ভ্রমণ করতে পারবেন না। এটা একটা বৈষম্যমূলক আচরণ। আমরা এই নিয়মের পরিবর্তন ঘটিয়েছি এবং চলতি বছরে কেরল থেকে উত্তর ভারত-দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৩০০ নারী হজে যেতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই ‘মেহরাম’ বা অভিভাবক ছাড়াই হজে যেতে চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন’। এই মুসলিম নারীরা যাতে এককভাবে হজে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করতে দেশটির সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কেও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর ৪৫ বছরের ঊর্ধ্ব মুসলিম নারীদের ৪ সদস্যের ‘মাহরাম’ গ্রুপ ছাড়াই হজ যাত্রায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
মোদি জানান, ‘সাধারণত লটারির মাধ্যমে হজ যাত্রীদের বেছে নেওয়া হয়, কিন্তু আমি চাই একক নারীদের ক্ষেত্রে এই লটারি সিস্টেম প্রযোজ্য না করা এবং তাঁদেরকে স্পেশাল ক্যাটারিতে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত’।
মোদির বিশ্বাস নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের দক্ষতা, প্রতিভার ওপরই ভারতের অগ্রগতির যাত্রা সম্ভব হয়েছে… আমাদের নারীরা যাতে সমান অধিকার ও সুযোগ পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সর্বদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত’।










