189777

কুয়েতে এক বাংলাদেশী গাড়িচালকের প্রেম কাহিনী, তোলপাড় বিশ্বমিডিয়ায়!

দু’জনের দেখাশোনা। তারপর ভালবাসা। সে ভালবাসা এতটাই গাঢ় হয় যে দু’জনেই বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান। তাই বাংলাদেশী গাড়িচালক তার প্রেমিকাকে তুলে নিয়ে আসেন। রেখে দেন তার নিজের চাকরিদাতার বাসায়। সঙ্গোপনে তাকে যে রুমে রাখা হয় সে রুমটি অতিরিক্ত। এটি মূল বাসার বাইরের দিকে। একদিন বাড়িওয়ালা ছাদে গিয়ে বুঝতে পারেন তার সেই ঘরে নারীকণ্ঠ। ব্যস, তিনি পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেন। এখন জেলে কাটছে ওই বাংলাদেশীর।

এ ঘটনাটি ঘটেছে কুয়েতে। তাকে জেলে পাঠানোর পর বিভিন্ন ব্লগে দাবি করা হচ্ছে তারা হলেন এ যুগের রোমিও-জুলিয়েট। তাদের জেলে আটকে না রেখে বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হোক। গতকাল অনলাইন গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশী ওই ড্রাইভারের প্রেমিকা একজন এশিয়ান। তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন। তার সঙ্গে প্রেম হয়ে যায় ওই বাংলাদেশীর। একপর্যায়ে তিনি প্রেমিকাকে তুলে নিয়ে যান তার বাসায়। স্থান দেন তার নিয়োগকর্তার বাসার একটি রুমে।

কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। একদিন নিয়োগকর্তা গেলেন বাসার ছাদে। অকস্মাৎ তিনি ড্রাইভারের রুম থেকে নারীকণ্ঠ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান সেখানে। গিয়ে পেয়ে যান ড্রাইভারের প্রেমিকাকে। তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন এই নারী ড্রাইভারের এ রুমে আছেন অনেক দিন ধরে। ওই প্রেমিকা তখন গৃহকর্তাকে জানান, তিনি অন্য এক বাসার কাজের লোক।

তাকে সেখান থেকে তুলে এনেছেন বাংলাদেশী ওই ড্রাইভার। তারপর থেকে ওই রুমেই রয়েছেন তিনি। তাকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে যে, তারা বিয়ে করবেন। এ অবস্থায় গৃহকর্তা ওই নারীকে নিয়ে যান রাজধানী কুয়েতের উত্তর-পশ্চিমে আল জাহরা পুলিশ স্টেশনে। সেখানকার পুলিশ তদন্ত করে দেখতে পায় ওই প্রেমিকা ওই রুমে অবস্থান করছিলেন এক মাস। প্রতি রাতে বাংলাদেশী গাড়িচালক তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতেন। এ অবস্থায় পুলিশ আটক করে বাংলাদেশী গাড়িচালককে।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, তিনি ওই গৃহপরিচারিকার প্রেমে পড়েছেন। তারা দু’জনেই বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন। এ সময় তিনি আরও স্বীকার করে, ওই পরিচারিকাকে তিনি তুলে এনেছেন। যখন তার নিয়োগকর্তা বাসায় ছিলেন না তখন এ কাজ করেছেন তিনি। তুলে নিয়ে একটি নিরাপদ আশ্রয় দেয়ায় তার প্রেমিকা সেখানে থাকতে সম্মতি দেন।

এ অবস্থায় বাংলাদেশী গাড়িচালকের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করা হয়। একই সঙ্গে তার প্রেমিকাকে ডিপোর্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এ রিপোর্টের বিষয়ে ব্লগাররা কর্তৃপক্ষকে নতুন যুগের এই রোমিও-জুলিয়েটকে দেশে ফেরত না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশী গাড়িচালকের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা তুলে নিতে। হুমুদ নামে এক ব্লগার লিখেছেন, এটা সত্যিকার একটি প্রেম কাহিনী। এটা আমাদের কাছে রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট। এর একটা সুখকর সমাপ্তি হওয়া দরকার।

ad

পাঠকের মতামত